পিএনএস ডেস্ক: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দুই বছরের শর্ত রেখে ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট নামের মাঠপর্যায়ের চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। আজ মঙ্গলবার সকালে চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়েছে। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপানসহ মানবাধিকার সংবেদনশীল সংস্থা ও রাষ্ট্রগুলোর উদ্বেগ-আশঙ্কার মধ্যেই গতকাল সোমবার থেকে টানা ১৩ ঘণ্টার বৈঠকের পর আজ সকালে আবার বৈঠক করে চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক এবং মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থো নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
আজ ১৬ জানুয়ারিও আলোচনা হবে বলে মিয়ানমার সরকার আগেই জানিয়েছে। আসন্ন ২২ জানুয়ারি বাস্তুচ্যুত ৪৫০ হিন্দু শরণার্থীকে গ্রহণের মধ্যদিয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করতে চায় তারা।
পররাষ্ট্রসচিব জানান, চুক্তিতে প্রত্যাবাসনের সংখ্যাসহ অন্য যেসব বিষয় আছে, সেগুলোর উল্লেখ আছে। বিশেষ করে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার ভূমিকার বিষয়টি এখানে যুক্ত করা হয়েছে। এখানে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, প্রত্যাবাসনের পর রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জীবন-জীবিকার বিষয় নিশ্চিত করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত আছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। আর ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে ছয় লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে। এছাড়া, আরও প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা ২০১৬ সালের অক্টোবরের আগে থেকে বাংলাদেশে অবস্থান করছিল।
পিএনএস/আনোয়ার
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট চুক্তি সই
16-01-2018 12:57PM