মাহে রমযান: ‘বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙা ভইরা লইয়া যায়’

  18-05-2018 05:50PM

পিএনএস : আজ পবিত্র মাহে রমযানের প্রথম দিন। পূর্বের বছরগুলোর মত এবারও জমে উঠেছে পুরান ঢাকার চকবাজারের ঐতিহ্যবাহী ইফতারির বাজার। এ বাজারেই মিলছে, ঐতিহ্যবাহী ‘বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙা ভইরা লইয়া যায়’ খাবারের। সুস্বাদু এ খাবারের চাহিদাও অনেক।

শুক্রবার (১৮ মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিক্রেতারা নানা রকম ইফতার সামগ্রির পসরা সাজিয়েছেন। এর মধ্যে ‘বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙা ভইরা লইয়া যায়’ খাবারের নাম ডেকে অনেকেই ক্রেতা আকর্ষণ করছেন। বিক্রেতারা প্রতি কেজি ‘বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙা ভইরা লইয়া যায়’ খাবারের দাম হাকাচ্ছেন ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা করে।

এ ইফতারি পণ্যের ঐতিহ্য প্রায় ৭৭ বছরের। এটি তৈরিতে ডিম, গরুর মগজ, আলু, ঘি, কাঁচা ও শুকনো মরিচ, গরুর কলিজা, মুরগির মাংসের কুচি, মুরগির গিলা কলিজা, সুতি কাবাব, মাংসের কিমা, চিড়া, ডাবলি, বুটের ডাল, মিষ্টি কুমড়াসহ ১৫ পদের খাবার আইটেমের সঙ্গে ১৬ ধরনের মসলা ব্যবহৃত হয়। একটি বড় গামলায় এই ৩১ ধরনের খাবার সামগ্রী দুই হাতে ভালোভাবে মাখিয়ে তারপর তা ঠোঙায় করে বিক্রি করা হয়।

মোঃ সেন্টু নামের একজন বিক্রেতা বলেন, ‘বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙা ভইরা লইয়া যায়’ খাবারের চাহিদা অনেক। আমি প্রথমবার যা এনেছি তার অধিকাংশই বিক্রি হয়ে গেছে। এখন নতুনকরে আবার নিয়ে আসছি। এগুলোও বিক্রি হয়ে যাবে।

তার দাবি, বিগত ৪৭ বছর ধরে তিনি ‘বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙা ভইরা লইয়া যায়’ খাবার বিক্রি করে আসছেন। এর আগে আমার দাদা করেছিল, দাদার বাবাও করেছিল, এখন আমি করছি। আমি অনেক ছোটবেলা থেকেই এ কাজ করে আসছি। আমার জন্ম বরিশালে হলেও সারাজীবন চকবাজারেই কাটাচ্ছি।

ঐতিহ্যবাহী এ খাবার ছাড়াও ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, সুতি কাবাব, জালি কাবাব, শাকপুলি, টিকা কাবাব, ডিম চপ, কাচ্চি, তেহারি, মোরগ পোলাও, খাসির রানের রোস্ট, দই-বড়া, হালিম, লাচ্ছি, পনির, বিভিন্ন ধরনের কাটলেট, পেস্তা বাদামের শরবত, ছানা-মাঠা, কিমা পরোটা, আলুর চপ, জালি কাবাব, শাহী জিলাপিসহ নানা পদের খাবার বিক্রি হচ্ছে এখানে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন