আমরা কেন নারীদের গৃহকর্মী হিসেবে বিদেশে পাঠাচ্ছি?

  12-06-2018 02:42AM



পিএনএস ডেস্ক: বাংলাদেশি নারীদের কেন বিদেশে গৃহকর্মী হিসেবে বিদেশে পাঠাতে হবে? প্রশ্ন ছুড়লেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। তিনি বলেন, যখন ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কা নারীকর্মী পাঠানো কমিয়ে দিচ্ছে, তখন আমরা কেন পাঠাচ্ছি?

সোমবার সকালে ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত বিদেশফেরত নারীদের সহায়তা ও সমঝোতা স্মারকসই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেয়ার সময় এই প্রশ্ন ছোড়েন তিনি।

কাজী রিয়াজুল হক বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে নারীরা শারীরিক, মানসিক এবং যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। সৌদি আরবে তো তারা পরিবার-পরিজনের সঙ্গে কথা বলতে পারে না। এছাড়া গৃহকর্মে তো মানুষ নিরাপদ নয়।

তিনি বলেন, দেশের ভেতর যদি শুধু পোশাক খাতে ৪০ লাখ নারীর কাজ করতে পারেন, তাহলে কেন বিদেশে গৃহকর্মী পাঠাতে হবে? ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কা যখন নারীকর্মী পাঠানো কমিয়ে দিচ্ছে, তখন আমরা কেন পাঠাচ্ছি?

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, মানুষ তো পণ্য নয়। প্রত্যেক মানুষের মানবাধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। এটা সরকারের দায়িত্ব। মানুষের যদি অধিকার নিশ্চিত না হয়, তাহলে কোনও উন্নয়নে কাজ হবে না। তিনি বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কথা শুনতে হবে। শুধু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কেন সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে।

বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক এবং লেদার-গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের(এলএফএমইএবি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ব্র্যাকের পরিচালক (অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেঞ্জ, টেকনোলজি অ্যান্ড পার্টনারশিপ স্ট্রেনদেনিং ইউনিট) কে এম মোরশেদ, অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল ইসলাম হাসান, লেদার-গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের(এলএফএমইএবি) প্রেসিডেন্ট সায়ফুল ইসলাম।

অনুষ্ঠান শেষে বিদেশে ফেরত নারীদের পুনরেকত্রীকরণে ব্র্যাক ও এলএফএমইএবির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারকসই হয়। এলএফএমইএবির পক্ষে সভাপতি মো. সায়ফুল ইসলাম এবং ব্র্যাকের পক্ষে অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল ইসলাম হাসান এতে সই করেন।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন