‘মাহবুব তালুকদারের প্রস্তাব অসাংবিধানিক’

  17-10-2018 07:36PM

পিএনএস ডেস্ক : নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেছেন, সরকারের নির্বাহী বিভাগ বা বিশেষ কোনো মন্ত্রণালয়কে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে ন্যস্ত করার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে কমিশনার মাহবুব তালুকদার যে প্রস্তাব করেছেন তা সংবিধান সম্মত নয়।

নির্বাচন কমিশনে নিজ কক্ষে আজ বুধবার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন কবিতা খানম।

কবিতা খানম বলেন, মাহবুব তালুকদার জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত করার সুপারিশ করেছেন। কিন্তু রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অধীনে। সংবিধান প্রধানমন্ত্রীকে এই ক্ষমতা দিয়েছে। তাই কোনো মন্ত্রণালয়কে কমিশনের অধীনে আনতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে।

১৫ অক্টোবর ইসির সভায় কথা বলতে না দেওয়ায় ইসির বিরুদ্ধে বাক্ স্বাধীনতা ও সাংবিধানিক অধিকার হরণের অভিযোগ তোলেন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। বক্তব্য দিতে না দেওয়ায় তিনি ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়ে সভা ত্যাগ করেন এবং পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

মাহবুব তালুকদার তাঁর লিখিত প্রস্তাবের তৃতীয় পাতার দ্বিতীয় প্যারায় উল্লেখ করেছেন, ‘সংলাপের সুপারিশে অংশীজনের অনেকে নির্বাচনকালে সার্বিকভাবে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সরাসরি নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত করতে বলেছেন। কেউ কেউ অর্থ, তথ্য ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কেও নির্বাচন কমিশনের অধীনে আনার সুপারিশ করেছেন। বিষয়টি বিতর্কমূলক সন্দেহ নেই। তবে আমার মনে হয় বিষয়টি বিবেচনাযোগ্য। নির্বাচন কমিশনের কাছে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব অর্পিত হলে নির্বাচনে জনগণের আস্থা বেড়ে যাবে এবং নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে তা সহায়ক হবে।’

ইসির সভায় মাহবুব তালুকদারের নোট অব ডিসেন্ট সম্পর্কে কবিতা খানম বলেন, নোট অব ডিসেন্ট হয় কোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেদিন কমিশনের সভায় কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না। সুতরাং মাহবুব তালুকদার যা দিয়েছেন সেটিকে নোট অব ডিসেন্ট বলা যাবে না। তিনি আরও বলেন, কমিশনে পাঁচজন কমিশনার আছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে। কারও ভিন্ন মত থাকতে পারে। সেটাকে কমিশনারদের বিরোধ বলা যাবে না।

কমিশনার কবিতা খানম বলেন, ‘মাহবুব তালুকদার কমিশনের সভা ত্যাগ ও তাঁর নোট অব ডিসেন্ট নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেছেন। বাইরে প্রচার হয়েছে, কমিশনে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। কিন্তু আমরা তা মনে করি না’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসি নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধনের কাজ করছে বলে কবিতা খানম জানান। তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রচারে প্রতীক হিসেবে জীবন্ত প্রাণীকে ব্যবহার করা যাবে না এবং কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিসপ্লে ব্যবহার করা যাবে—সংশোধনীতে ইসি এ প্রস্তাব করবে।

নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রশ্নে কবিতা খানম বলেন, সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে আলোচনার সময় এখনো আসেনি।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন