এনআইডি জালিয়াতি নিয়ে বিব্রত নির্বাচন কমিশন: কবিতা খানম

  14-12-2019 06:03PM

পিএনএস ডেস্ক : জালিয়াতির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় আছেন বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম।

শনিবার সকালে নগরের সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচন নিয়ে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় পুলিশ সুপার নুরেআলম মিনা, বিজিবি-৮ এর পরিচালক লে. কর্নেল মো. মুনীর হোসেন, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানসহ জেলা ও উপজেলার নির্বাচনী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বেগম কবিতা খানম বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়। কিন্তু অযথা যাতে কাউকে হয়রানি করা না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। রোহিঙ্গাদের হাতে ভোটার কার্ড আসার বিষয়টি দেখার জন্য আমাদের নিজস্ব একটি তদন্ত টিম আছে। এ বিষয়ে তারা তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হয়তো নির্বাচন অফিসের কারো নাম বলতে পারে। তবে আসলে সে জড়িত কিনা সেটাও খুঁজে বের করতে হবে সবার আগে। আমি অনুসন্ধানের বিপক্ষে নই। তবে ইচ্ছা হলেই তদন্তের নামে কোনো উর্ধ্বতন নির্বাচন কর্মকর্তাকে তুলে নিয়ে চলে গেলেন- অথচ এর সঙ্গে সম্পৃক্ততাই নেই-এমন যাতে না হয়।’

তিনি বলেন, ‘ভোটার হতে অনেক কাগজপত্র দরকার হয়। এগুলো কোথা থেকে আসে সেটা খুঁজে বের করা দরকার। জন্মসনদসহ বিভিন্ন সার্টিফিকেটগুলো যারা দিচ্ছে, কিভাবে দিচ্ছে, কোথা থেকে তা দেওয়া হচ্ছে এসব বিষয় খুঁজে বের করা দরকার। যদি এ অনিয়ম উৎপাটন করতে হয় তাহলে স্থানীয় পর্যায় থেকে অনুসন্ধান করতে হবে।’

আসন্ন চট্টগ্রাম-৮ আসনের নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, 'প্রতীক বরাদ্দের আগে কোন পোস্টার ছাপানো যাবে না। আমি শুনতে চাই না এলাকায় কোন নির্বাচনী পোস্টার ঝোলানো হয়েছে। এসব বিষয় কমিশনকে দেখতে হবে। শুধু সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিলে হবে না। নির্বাচনী এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করতে হবে। নির্বাচনের সময় প্রাণহানির মতো কোনো পরিস্থিতি চাই না। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।' সভায় বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওসি অনুপস্থিত থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

ইভিএম প্রসঙ্গে কবিতা খানম বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন ইভিএমে এক জায়গায় ভোট দিলে অন্য জায়গায় চলে যাবে। এ ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। ব্যালট বক্স ছিনতাই করে নিতে পারে কিন্তু ইভিএমে সেই সুযোগ নেই।’

প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গাদের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রাম নির্বাচন অফিসের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পিএনএস/মো. শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন