‘রিজার্ভের টাকা চুরি’ অর্থমন্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত’

  18-03-2016 11:46PM

পিএনএস: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা চুরির সঙ্গে ব্যাংকের কর্মকর্তারা শতভাগ জড়িত বলে অর্থমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন নিশ্চয়ই ওনার কাছে তথ্য ছিল এবং তিনি জেনেই একথা বলেছেন। ফলে আমি মনে করি যারা তদন্ত করছেন তাদের কর্তব্য হচ্ছে অর্থমন্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা। রেডিও তেহরানের কথাবার্তা অনুষ্ঠানে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নুরুল কবির। তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রীর ওই বক্তব্য তদন্তকে প্রভাবিত করবে কি করবে না এটি অত্যন্ত যৌক্তিক প্রশ্ন। ফলে অর্থমন্ত্রীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করা উচিত। একইসঙ্গে সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে ইস্তফা দিতে বলেছে বলেই তিনি পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে নিয়োগ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। ফলে তিনি কোনো অবস্থায় এই ঘটনার নৈতিক দায় এড়াতে পারেন না। নুরুল কবির এ প্রসঙ্গে আরো বলেন, ব্যাংকের সাথে সংশ্লিষ্টদের সম্পৃক্ততা ছাড়া ডিজিটাল পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এত টাকা চুরির ঘটনা ঘটতে পারে না। আর একথা বিভিন্নমহলসহ অর্থমন্ত্রী নিজেই বলেছেন। আর অর্থমন্ত্রী যখন নিজে একথা বলেছেন তখন ধরে নেয়া যাবে সাধারণ মানুষ এবং মিডিয়ার চেয়ে অনেক বেশি কিছু জেনে তিনি একথা বলেছেন। বিশিষ্ট এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, রাজকোষ কেলেঙ্কারির তদন্তের মধ্যে আলোচনায় আসা আইটি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা সাহেবের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে। নিশ্চয়ই কোনো না কোনো কর্তৃপক্ষ তাকে তুলে নিয়ে গেছেন। তিনি নিখোঁজ হওয়ার ৩ দিন আগে একটি পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন। তার ওপর চাপ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। তারপর তিনি নিখোঁজ হন। এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারে। তাহলে এটা স্পষ্ট যে পুলিশ এবং রাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর একটি গোয়েন্দা সংস্থা জোহা সাহেবের নিখোঁজ হওয়ার সাথে জড়িত। এখানে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন জোহা সাহেব অন্তর্ধান হয়ে গেছে।তাকে উদ্ধারের ব্যাপারে রাষ্ট্র এবং পুলিশ বিভাগ কোনো সহযোগীতা করছে না সে বিষয়টি আমরা দেখতে পাচ্ছি। এটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা। এরসাথে রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতার পরিপূর্ণ ইঙ্গিত এখানে রয়েছে। নুরুল কবির বলেন, রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনা দ্রুত প্রকাশ না করায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে একথা দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সবাই বলছেন। তবে যারা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট তাদের বিরুদ্ধে আরো আগেই শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। আরো আগেই তাদেরকে বহিষ্কার করা উচিত ছিল। তাদেরকে তদন্তের আওতায় আনা এবং তাদের গতিবিধির ওপর নজর রাখাও উচিত ছিল। কিন্তু সব কিছুর মধ্যে সরকারের অবহেলার বিষয়টি লক্ষ্য করা যায়। তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যখন এতবড় অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে তখন পুরো অর্থনীতিতে একটা আতঙ্ক তৈরি হয় এবং তা বাংলাদেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এরইমধ্যে আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অর্থনৈতিকভাবে বিরুপ পড়তে পারে বলে মনে করছেন । সূত্র: রেডিও তেহরান

পিএনএস/বাকীবিল্লাহ্

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন