মনোনয়ন পেলে ভোলা-১ আসন ধানের শীষকে উপহার দিবেন কাজী আখতার হোসাইন

  18-11-2018 02:43PM

পিএনএস, নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা -১ আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য মাঠে নেমেছেন ব্যারিষ্টার কাজী আখতার হোসাইন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র তোলেন তিনি।

নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ব্যাপক শোডাউনের মধ্য দিয়ে মনোনয়নপত্র জমাও করেছেন। এখন দল মনোনয়ন দিলে এ আসন থেকে ধানের শীষের বিজয় সুনিশ্চিত বলে মনে করেন ব্যারিষ্টার কাজী আখতার হোসাইন।

জানা গেছে, মেঘনা, তেঁতুলিয়া আর বঙ্গোপসাগরে ঘেরা দ্বীপজেলা ভোলার সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত ভোলা-১ আসন। ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত ভোলা-১ আসনে মোট ৩ লাখ ১২ হাজার ভোটারের মধ্যে নারী ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫২ হাজার। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এককভাবে কারো দখলে ছিলনা এ আসনটি। ১৯৯১ পরবর্তী নির্বাচনে ৩ বার তোফায়েল আহমেদ, একবার করে বিএনপির মোশারেফ হোসেন শাজাহান ও বিজেপির আন্দালিভ রহমান পার্থ বিজয়ী হয়েছেন। এই আসনে এবারের নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতিকের বিজয় ছিনিয়ে আনতে চান ব্যারিষ্টার কাজী আখতার হোসাইন।

দলের প্রতি শতভাগ আস্থা ও আনুগত্য রেখে তিনি বলেন, দল যাকে মনোনয়ন দেবেন তার পক্ষে কাজ করতেও আমি অঙ্গীকারবদ্ধ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্যারিষ্টার কাজী আখতার হোসাইন সুপ্রীম কোর্টের একজন সফল আইনজীবী।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের একজন সক্রিয় সদস্য। ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। লেখাপড়ার পাশাপাশি ছাত্ররাজনীতির সকল কর্মকান্ডেও সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। পেশাগত জীবনেও দলীয় কর্মসুচিতে আদালত প্রাঙ্গনে সরব থাকেন।বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত তার পারিবার। তার ছোট ভাই কাজী মোক্তার হোসাইন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্মসাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

কথা হয় ব্যারিষ্টার কাজী আখতার হোসাইনের সাথে। তিনি বলেন, দল থেকে মনোনয়ন পেলে ও সম্মানিত ভোটাররা তাদের সঠিক অধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে আমাকে নির্বাচিত করলে নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ড কিংবা গ্রামের মানুষের জন্য নিরলসভাবে কাজ করবো। সমাজ উন্নয়ন বেকারত্ব দূরীকরণ, রাস্তাঘাট উন্নয়ন, শিক্ষায় উন্নয়ন ও নারী শিক্ষার জন্য বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হবে। নারী ও শিশুর অধিকার সুরক্ষায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করা।

প্রযুক্তিতে যুবসমাজকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে কাজী আখতার হোসাইনের বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিকাশ ঘটানো হবে। সন্ত্রাস ও দুর্নীতি মাদক মুক্ত অঞ্চল হিসেবে ভোলা -১ নির্বাচনী আসনকে গড়ে তোলার ব্যাপারে সর্বাধিক গুরুত্ব দেব। দীর্ঘদিন দলের প্রতি সততা নিষ্ঠা এবং অনুগত থেকে দায়িত্ব পালন করেছি। দলের যে কোনো বিপদে একজন নির্ভীক সৈনিক হিসেবে আপসহীন যোদ্ধার মতো পাশে থেকেছি।

দল যদি সৎ, যোগ্য, দলের প্রতি অনুগত কর্মীদের সঠিক মূল্যায়ন করলে, আমি নিজেকে ভোলা আসনের একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে যৌক্তিক দাবিদার।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু নির্বাচনকে সামনে রেখে নয়, সব-সময় এলাকার মানুষের সুখে দু:খে পাশে ছিলেন । প্রাকৃতিক দূর্যোগ শীত ও বন্যায় ত্রাণ নিয়ে এলাকার মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। এলাকার সকল ধর্ম উদযানে সমানভাবে কাজ করছেন। এছাড়াও এলাকার বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে উপস্থিত ছিলেন। এ আসনের সর্বস্তরের গণমানুষের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করেছেন।

কাজী আখতার হোসাইনের বলেন, এ এলাকার মানুষ ধানের শীষ প্রতিক চায়। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে এ আসনটি উপহার দেয়া হবে।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন