ডিমলায় তিস্তার পানি বিপদ সীমার উপরে, ৭ ইউনিয়ন প্লাবিত

  24-09-2020 07:50PM

পিএনএস, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি : গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতে উজানের ঢল নেমে এসে খড়স্রোতা তিস্তা নদী বেসামাল হয়ে পড়ে। যার ফলে নদী-নালা, খাল-বিল হয় প্লাবিত। এতে নীলফামারী ডিমলা উপজেলায় সাতটি ইউনিয়নের ৫ হাজার ৯ শত পরিবার পানি বন্দি হয়। উপজেলা ১নং পশ্চিম ছাতনাই, ১০নং পূর্ব ছাতনাই, ৪নং খগাখড়িবাড়ি, ৫নং গয়াবাড়ি, ৯নং টেপাখড়িবাড়ি, ৭নং খালিশা চাপানী ও ৮নং ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নে ছাতুনামা ও ভেন্ডাবাড়ি মৌজা প্লাবিত হয়।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন ত্রাণ শাখা সূত্রে জানা যায়, উক্ত ইউপি গুলোতে বাংলাদেশ দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের বরাদ্ধ কৃত ৪৭ টন শুকনা খাদ্য সামগ্রী পৌচ্ছে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে।

এ ব্যাপারে ৭নং খালিশা চাপানী ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার বলেন, শরৎ কালীন সময়ে আকর্ষিক এ বন্যা অনেকের অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হবে।

এছাড়াও ৮নং ঝুনাগাছ চাপানী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, বন্যা শেষ হতে না হতে আবারও বন্যা এ যে প্রকৃতির নিঠুর খেলা। এক দিকে করোনা অপর দিকে বন্যা। ঘরে ঘরে জ্বরের প্রকট। জানি না আমাদের ভাগ্যে কী আছে। বর্তমানে ঘরে ঘরে নিরাপদ পানির সংকট। এই দূর্যোগ কালীন অবস্থায় সরকারের পাশাপাশি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গুলোকে এগিয়ে আসার আহব্বান করছি।

বন্যা পরবর্তী সময়ে কী কী রোগের প্রাদুর্ভাব হতে পারে এব্যাপারে জানতে চাইলে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সারোয়ার আলম বলেন, বন্যা পরবর্তী সময়ে পানি বাহিত রোগ ডায়রিয়া, কলেরা, আমশয়, চর্ম ও চোখের রোগ হতে পারে। বায়ুবাহিত রোগ জ্বর, সর্দি, হাচি-কাশি এবং সাপের উপদ্রব দেখা দিতে পারে। এই প্রাদুর্ভাব এড়াতে সচেতন থাকতে হবে। স্বস্থ্য সুরক্ষার জন্য মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মীদের পরামার্শ মেনে চলতে হবে।

উল্লেখ্য ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৫২.৮৭, দুপুর ১২ টায় ৫২.৮২, বিকাল ৩ টায় ৫২.৭২, সন্ধা ৬টায় অপরিবর্তীত রয়েছে। যা বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রভাহিত হচ্ছে।

পিএনএস/এসআইআর


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন