পিএনএস ডেস্ক: প্রচণ্ড দাবদাহে অতিষ্ঠ দেশের মানুষ। এক পশলা বৃষ্টির আশায় সবখানে ইসতেসকার নামাজ আদায় হচ্ছে। সবার অপেক্ষা একটাই, কখন নামবে স্বস্তির বৃষ্টি। তবে উল্টো চিত্রও রয়েছে।
হাওর অঞ্চল থেকে শুরু করে বরেন্দ্র অঞ্চল, প্রায় সবখানেই কৃষকরা এখন ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এই মুহূর্তে বৃষ্টি হলে তাদের সারা বছরের পরিশ্রম পণ্ড হবে। তারা চাইছেন বৃষ্টি কিছুদিন পরে আসুক।
সুনামগঞ্জের হাওরগুলোতে চলছে ধান কাটা, মাড়াই ও গোলায় তোলার উৎসব। অন্য বছরগুলোতে আগাম বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে কৃষকের ধান সেখানে পানির নিচে তলিয়ে যেত। তবে এ বছর তারা অনেকটাই নির্ভার।
হাওরজুড়ে এখন কেবল স্বস্তির হাসি। কৃষকরা বলছেন, আরও সপ্তাহখানেক আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে, বৃষ্টি না হলে শতভাগ ফসলই কৃষকের গোলায় উঠবে। তারা এখন বৃষ্টি চান না।
কৃষি অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জেলার ১৩৭টি ছোট-বড় হাওরে একযোগে ধান কাটা এখন শেষের দিকে। এ বছর ২ লাখ ২৩ হাজার ৪০৭ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬২ হেক্টর বেশি।
উত্তরাঞ্চলের বিশেষ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের যেসব এলাকায় ধানের ফলন ভালো হয় তার মধ্যে বগুড়ার নন্দীগ্রাম অন্যতম। চলনবিলের মতোই এ উপজেলার অনেক এলাকাতেই ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে আরও সাত দিন আগে। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই নন্দীগ্রামে অধিকাংশ এলাকায় ধান কাটা-মাড়াই শেষ হয়ে যাবে।
পিএনএস/এমএইউ
কেউ বৃষ্টি চায়, আবার কেউ চায় না!
30-04-2024 01:24PM