পিএনএস, পাইকগাছা (খুলনা) : খুলনার পাইকগাছায় ১৪০টি মন্দিরে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের তুলনায় ২টি মন্দিরে বেশী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলায় সাড়ম্বে চলছে শারদীয় দুর্গা পূজার প্রস্তুতি। খুলনা জেলার মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজেলা পাইকগাছা। আর সবচেয়ে বেশী ১৮০টি মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায়। পূজা মন্দির গুলোতে নেওয়া হবে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বাঙ্গালী হিন্দুদের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে এখন পূজা মন্দিরগুলোতে প্রতিমা নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়। চলছে রং তুলির আর সাজসজ্জার বাহারি উপকরণ দিয়ে প্রতিমা আর্কষণী করে তোলার কাজ। দুর্গতি নাশিনী দেবী দুর্গাকে বরণ করতে সর্বত্রই সাজসাজ রব। শিল্পীরা ব্যস্ত প্রতিমাকে আরো রূপ-মাধূর্যে পরিপূর্ণ করে তুলতে। কারীগর ব্যস্ত মঞ্চ-প্যান্ডেল স্থাপনে। এগিয়ে চলছে অন্যান্য কাজও। দুর্গাদেবীর আবাহন বা মহালয়া, তারপর দেবী দুর্গার বোধন, আমন্ত্রন ও অধিবাসের মধ্যোদিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ৫ দিনের মহা দুর্গোৎসব। প্রতিমা বিসর্জন ও বিজয়া শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে শেষ হবে এই বর্ণিল উৎসব।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সূত্র জানান, উপজেলার পৌর সদরে ৬টি, গদাইপুর ইউনিয়নে ৪টি, হরিঢালীর ইউনিয়নে ১৮টি, কপিলমুনি ইউনিয়নে ১৬টি, লতা ইউনিয়নে ১১টি, দেলুটি ইউনিয়নে ১৩ টি, সোলাদানা ইউনিয়নে ১৩টি, লস্কর ইউনিয়নে ১৭টি, রাড়–লী ইউনিয়নে ১৭টি, চাঁদখালী ইউনিয়নে ১৪টি ও গড়ইখালী ইউনিয়নে ১১টি মন্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে পৌরসভার কেন্দ্রীয় মন্দির (হরিতলা বাতিখালী) এ বছর সর্ববৃহৎ পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে মন্দির কমিটির সভাপতি গৌতম মন্ডল জানিয়েছেন এ খানে তেরী করা হচ্ছে নব বৃন্দাবন। মন্দিরে দুর্গা প্রতিমাসহ প্রায় ১২১টি মূর্তি তৈরি করা হয়েছে।
এদিকে আসন্ন দুর্গোৎসবকে ঘিরে উপজেলার জনপদে আনন্দের হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা প্রস্তুতি নিচ্ছে বৃহৎ এ দুর্গা উৎসব পালনের। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে চলছে নতুন জামা-কাপড়সহ ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র কেনা-কাটার ধূম। ১২ অক্টোবর প্রথম প্রহরে দূর্গাদেবীর আবাহন বা মহালয়া। ১৮ অক্টোবর রবিবার পঞ্চমী তিথিতে দেবীর বোধন। ১৯ অক্টোবর সোমবার দুর্গাদেবী ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভ এবং ষষ্ঠী বিহিত পূজা প্রশস্তা। সায়ং কালে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস। ২০ অক্টোবর মঙ্গলবার সপ্তমী পূজা। ২১ অক্টোবর বুধবার মহাষ্টমী এবং ২২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার একই দিনে মহানবমী ও দশমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। বিজয়াদশমী মধ্যদিয়ে দেবী পূজার সম্পাতি হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ দুর্গা পূজা। দেবী দুর্গা ঘোটকে আগমন এবং দোলায় গমন করবেন।
পাইকগাছা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমীরণ সাধু বলেন, সাম্প্রতি দেশে দু’জন বিদেশী নাগরিক আততায়ীর হাতে নিহত হওয়ায় দুর্গা পূজা মন্দিরে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ৬ অক্টোবর জেলা আইন শৃঙ্খলা মিটিংএ বলা হয়েছে।
তিনি আরও জানায় পাইকগাছায় সকল ধর্মের মানুষ মিলেমিশে শান্তিুপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছি বিধায় পূজায় কোনো রূপ বিশৃঙ্খলা হবে না বলে আশা রাখি।
পিএনএস/মো.সাইফুল্লাহ/মানসুর
পাইকগাছায় ১৪০টি মন্দিরে দুর্গা পূজা, থাকছে বাড়তি নিরাপত্তা
08-10-2015 07:07PM