ডায়াবেটিস রোগীরা কতটুকু কাঁঠাল খাবেন, কাঁঠালের গুণাগুণ

  

  02-07-2024 04:23AM

সুলতান সোহান: রূপসী বাংলায় গ্রীষ্মকাল মানেই নানা রসালো ফলের সমাহার। এর মধ্যে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু অন্যতম জনপ্রিয় ফল। এই প্রতিটি ফলের স্বাদই যেন মধুময়। তবে ‘মিষ্টি’ স্বাদের এসব ফল খাওয়ায় রয়েছে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের নানা রকমের প্রশ্ন।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ডায়াবেটিস এমন এক রোগ যাতে আক্রান্ত রোগী অনেক খাবারই খেতে পারেন না। এমন অনেক খাবার আছে যা ডায়াবেটিস আক্রান্তের শরীরে বিষ হিসাবে কাজ করে। ফলে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের কিছু খাবার থেকে দূরে থাকতে হয়।

এছাড়াও পুষ্টিবিদদের মতে, গ্রীষ্মকালীন সব ফলই প্রায় পুষ্টিগুণে ভরপুর। এসব ফলের তালিকায় কাঁঠালের নাম আসে প্রথম দিকেই। কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে কার্বেহাইড্রেট ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ও ফাইবার। সুতরাং এই ফল খেলে শরীরের বিভিন্ন উপকারসহ বেশ কিছু রোগও থেকে দূরে থাকা যায়। ফলে মাঝেমাঝে এই ফল খাওয়া উচিত। এটি শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী।

কাঁঠালের গ্লিসিমিক ইনডেক্স বা জিআই ৫০-৬০'র মধ্যে। অন্যদিকে গ্লিসিমিক লোড বা জিএল ১৩-১৮'র মধ্যে। অর্থাৎ সাধারণত এই গ্লিসিমিক ইনডেক্সকে হাই গ্লিসিমিক ইনডেক্সের মধ্যে ধরা হয় না। ফলে এই কাঁঠাল নিশ্চিন্তে খাওয়া যেতে পারে। তবে এখানে এটাকে খুব নিরাপদ ফলও বলা যায় না। কেননা কাঁঠাল হাই গ্লিসিমিক ইনডেক্সের ফল না হলেও এটি মডারেট গ্লিসিমিক ইনডেক্সের ফল। অর্থাৎ মাঝামাঝি স্থানে থাকায় খুব একটা নিরাপদ নয় বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল। তাই খাওয়ার ব্যাপারে বিধিনিষেধ অবশ্যই থাকা উচিত বলে মনে করে চিকিৎসা বিজ্ঞান।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা সুস্বাদু এই ফল কতটা খেতে পারবেন সেই বিষয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, মডারেট গ্লিসিমিক ইনডেক্সের ফল কাঁঠাল খুব বেশি খাওয়া ঠিক নয়। প্রতিবারে ৭৫ গ্রামের বেশি কাঁঠাল না খাওয়াই উত্তম। প্রথমবার খায়ার দুই ঘন্টা পর যদি আবার খেতে ইচ্ছে করে, তখন আবার পুনরায় ৭৫ গ্রাম খাওয়া যেতে পারে। মাঝে গ্যাপ দিয়ে দিয়ে না খেলে রক্তে সুগার স্পাইক করে যেতে পারে।

আসুন এবার জেনে নেয়া যাক কাঁঠালের গুণাগুণ:

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: গ্রীষ্মকালীন ফল কাঁঠালে বেশ কিছু গুণ রয়েছে যা শরীরে বেশ কিছু পুষ্টিগুণ সরবরাহ করে। এর মধ্যে কাঁঠালে খনিজ পদার্থের মতোই পটাশিয়ামের পরিমাণ অনেকটাই যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

হার্ট ভাল রাখে: কাঁঠাল উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে কার্ডিয়োভাসকুলার ডিজিজের হার কমিয়ে দেয় যা হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে। ফলে হার্টের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: কাঁঠাল ফল বলে এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। এছাড়াও কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন 'সি'। যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি মানব দেহে কোলাজেন টিস্যু তৈরি করতে সহায়তা করে এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন হিসেবে কাজ করে। ফলে সুমিষ্ট ফল কাঁঠালে থাকা ভিটামিন 'সি' মানব দেহে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। তথ্যসূত্র: সংগৃহীত

এসএস

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন