শের-ই-বাংলা হাসপাতালে সেবা বাড়ানোর দাবি

  13-10-2024 01:07AM

পিএনএস ডেস্ক: বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল গোটা দক্ষিণাঞ্চলের স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যতম নির্ভরযোগ্য একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯৬৮ সালে হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা হলেও এখনো অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ ইউনিট চালু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ফলে রোগীদের সামান্য চিকিৎসার জন্য হতে হয় ঢাকামুখী। এছাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।

দুর্নীতির অভিযোগে সম্প্রতি ইন্টার্ন চিকিৎসকদের তোপের মুখে পরিচালক পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম। এলাকাবাসীর দাবি, হাসপাতালকে দুর্নীতিমুক্ত করতে কোনো সেনা কর্মকর্তাকে পরিচালক পদে বসানো হোক।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইন্টার্ন চিকিৎসকদের আন্দোলনের মুখে ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর কয়েক দিনের মাথায় বুধবার হাসপাতালসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় 'সেনাবাহিনী থেকে পরিচালক চাই'-এমন ব্যানার ও পোস্টার। শেবাচিমের সাধারণ শিক্ষার্থী এবং এলাকার মানুষ এ দাবি করেন। তাদের মতে, এটি হলে এই হাসপাতালটি অনিয়ম, দুর্নীতি ও রাজনৈতিক প্রভাব থেকে রক্ষা পাবে। বিশেষ করে এ অঞ্চলের গরিব রোগীরা সহজে চিকিৎসা নিতে পারবেন।

রোগীদের ভোগান্তি
একজন রোগী যখন শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন তাকে প্রথম ভোগান্তিতে পড়তে হয় জরুরি বিভাগে। সেখানে দায়িত্বে থাকা ট্রলিম্যান রোগীকে নিয়ে যায় নির্দিষ্ট বিভাগে, যেখানে জরুরি বিভাগের একজন চিকিৎসক তাকে দেখেন এবং ওয়ার্ডে পাঠান। সেখানে রোগীকে নেওয়ার পরেই ট্রলিম্যানকে দিতে হয় টাকা। এরপর বিছানা পেতে আরেক দফা টাকা দিতে হয় ঐ ওয়ার্ডের আয়াদের। রোগী অর্থ যেমন দেবেন সে রকমই বিছানা পাবেন ঐ ওয়ার্ডে। এরপর কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীকে দেখার পর প্রাথমিক চিকিৎসা দেন এবং কিছু টেস্ট করতে দেন। অভিযোগ রয়েছে, এই হাসপাতালে যদি কোনো প্রসূতি মায়ের সিজারিয়ান অপারেশন হয় তাহলে সেই নবজাতকের মুখ দেখতেও দিতে হয় টাকা। আয়া-বুয়াদের মনমতো টাকা না দেওয়া হলে রোগীর স্বজনদের শুনতে হয় নানা কথা।

দালাল দ্বারা ভোগান্তি
প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চিকিৎসক যে টেস্ট করতে দেন তা হাসপাতাল ল্যাবে না করিয়ে বাইরের ডায়াগনস্টিকে করার জন্য রোগীদের প্ররোচিত করে একদল দালাল এবং তাদের মাধ্যমে করালে কম খরচে নিখুঁত টেস্ট করা যাবে-এমন মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে সেসব প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যায়। আর এসব দালালদের সহায়তা করে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির একদল কর্মচারী।

পিএনএস/রাশেদুল আলম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন