উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে যে ব্যায়ামগুলো করবেন

  10-02-2025 06:59PM

পিএনএস ডেস্ক : বর্তমান সময়ে হাইপার টেনশন বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বহু মানুষের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবনের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।

কি ধরনের ব্যায়াম করবেন? :

১. হাঁটাহাঁটি বা দৌড়ানো
২. সাইকেল চালানো
৩. সাঁতার কাটা
৪. খেলাধুলা করা
৫. বাগানে কাজ করা
৬. সিঁড়ি দিয়ে ওঠা / হাইকিং
৭. নাচ

কতক্ষণ ব্যায়াম করবেন? :

সপ্তাহে প্রতিদিন অথবা ন্যূনতম ৫ দিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। একটানা ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা সম্ভব না হলে ১০ মিনিট করে দিনে ৩ বার ব্যায়াম করেও সমান সুফল পাওয়া যাবে।

ব্যায়ামের সুফল কি? :

আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজি অনুযায়ী মানুষের স্বাভাবিক রক্তচাপ ১২০/৮০ মি. মি. পারদ। নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে সিস্টোলিক রক্তচাপ ৩ থেকে ৬ ইউনিট এবং ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ ৪ থেকে ১২ ইউনিট পর্যন্ত হয়ে থাকে। ১ থেকে ৩ মাস নিয়মিত ব্যায়াম করার পরে এই সুফল লক্ষ্য করা যায় এবং যতদিন ব্যায়াম করা যায় ততদিন এই সুফল বজায় থাকে।

ব্যায়াম শুরু করার পূর্বে কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন?

১. হার্টের কোনো রোগ জানা থাকলে যেমন হার্ট অ্যাটাক
২. যদি ফুসফুসে কোন রোগ থাকে
৩. যদি পরিবারের পুরুষ সদস্যের ৫৫ বছর বা মহিলা সদস্যের ৬৫ বছর বয়সের পূর্বে হার্টের রোগ বা হঠাৎ মৃত্যুর ইতিহাস থাকে।
৪. নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস না থাকলে
৫. শারীরিক সুস্থতা সম্পর্কে আপনি যদি নিশ্চিত না থাকেন।

কি লক্ষণ দেখা দিলে ব্যায়াম বন্ধ করবেন?:

১. বুকে, গলায়, চোয়ালে বা বাহুতে ব্যথা/ চাপ অনুভব করলে।
২. অতিরিক্ত/অস্বাভাবিক শ্বাসকষ্ট হলে
৩. মাথা ঘোরালে
৪. হৃৎস্পন্দন/ হার্টবিট অনিয়মিত হলে

ব্যায়ামের অভ্যাস ধরে রাখার উপায় :

আমরা অনেকেই ব্যায়াম শুরু করি কিন্তু নানা কারণে ব্যায়ামের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারি না। এক্ষেত্রে নিচের উপায়গুলো আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

১. ব্যায়ামকে মজার করে তুলুন
২. দৈনন্দিন কাজের রুটিনের সঙ্গে মিলিয়ে ব্যায়ামের জন্য সময় নির্বাচন করুন
৩. ব্যায়ামে কাউকে সঙ্গে নিন

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ব্যায়াম করার জন্য জিম এ ভর্তি হওয়া বা দামি যন্ত্রপাতি কেনার প্রয়োজন নেই, উপরের যে কোন এক বা একাধিক ব্যায়াম নিয়মিত করবেন। ব্যায়াম খাদ্য-ভ্যাসের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রাখা উচিত।

লেখক : এমবিবিএস, এমডি (কার্ডিওলজি)
কনসালটেন্ট কার্ডিওলজি ‘আলোক হেলথকেয়ার লিমিটেড’ মিরপুর-১০, ঢাকা। ১০৬৭২

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন