জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নতুন পরিচালক

  13-02-2025 01:12PM

পিএনএস ডেস্ক: জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশিষ্ট বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের (পার-১) উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার/স্বাস্থ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দীনকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ও সহযোগী অধ্যাপক পদে বদলি/পদায়ন করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে বদলি/পদায়নকৃত এই কর্মকর্তা আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করবেন। অন্যথায় পরবর্তী কর্মদিবসে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি মর্মে গণ্য হবেন। অবমুক্তির সময় তিনি বর্তমান কর্মস্থল হতে ছাড়পত্র গ্রহণ করবেন এবং এইচআরএম ডাটাবেজ থেকে মুভ আউট হবেন এবং যোগদানের পর ন্যস্তকৃত বিভাগে/কর্মস্থলে মুভ ইন হবেন।

ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি শৈলকূপা পাইলট হাইস্কুল থেকে ৬টি লেটারসহ স্টারমার্ক নিয়ে এসএসসি পাস করেন এবং উপজেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। ১৯৮৬ সালে শৈলকূপা কলেজ থেকে স্টার মার্কসহ উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। তিনি স্যা র সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন এবং ১৭ বিসিএসর মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন।

২০০৩ সালে সার্জারিতে এফসিপিএস এবং পরবর্তীতে প্লাস্টিক সার্জারিতে এমএস ডিগ্রি লাভ করেন। এ ছাড়াও তিনি যুক্তরাজ্যে হতে এফআরসিএস এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে এফএসিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। একজন প্লাস্টিক সার্জন হিসেবে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ,ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং অসংখ্য আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে বৈজ্ঞানিক গবেষণা পত্র উপস্থাপনা করেছেন। একজন দক্ষ সার্জন এবং প্লাস্টিক সার্জারির একজন শিক্ষক হিসেবে তিনি ইতোমধ্যে সুনাম অর্জন করেছেন।

গত ২০২৪ এর জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় আহত রোগীদের চিকিৎসার জন্যে তিনি ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। বিশেষত ১৮, ১৯ ও ২০ জুলাই টানা তিনদিন বাড্ডার একটি বেসরকারি হাসপাতালে একাই কমপক্ষে ১০০ রোগীর শরীরে অস্ত্রোপচার করেন। এজন্য তাকে তৎকালীন স্বৈরাচারী সরকারের রোষানলের সম্মুখীন হতে হয়। পরে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার জন্য গঠিত মনিটরিং সেলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন