পিএনএস ডেস্ক: গৌতম আদানির জন্যে যেন সমস্যার কোনো অন্ত নেই। এর আগে সেবি এবং সুপ্রিম কোর্ট থেকে ‘ক্লিনচিট’ মিলেছিল হিন্ডেনবার্গ বিতর্কের আবহে। তবে নতুন করে মার্কিন বিচার বিভাগের মামলায় নাম জড়িয়েছে খোদ গৌতম আদানির। এই আবহে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে নতুন করে আদানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলো। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মামলার আবেদন করেছেন অ্যাডভোকেট বিশাল তিওয়ারি। এর আগে আদানি-হিন্ডেনবার্গ বিতর্কের সময়ও সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন তিনি।
এদিকে ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুস দেওয়ার মামলায় ইতিমধ্যেই গৌতম আদানি ও সাগর আদানিকে তলব নোটিশ পাঠিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটি ও এক্সচেঞ্জ কমিশন। আমদাবাদে শান্তিবন ফার্মে গৌতম আদানির বাড়িতে এবং বোড়াকেভে সাগর আদানির বাড়িতে এই তলব নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতের সরকারি কর্মকর্তাদের ২৬ দশমিক ৫ কোটি ডলারের ঘুসের প্রস্তাব দেওয়া অভিযোগ উঠেছে আদানির বিরুদ্ধে। এই আবহে মার্কিন মুলুকে একটি মামলায় ভাতিজাসহ অভিযুক্ত হয়েছেন ধনকুবের গৌতম আদানি এবং তার ভাতিজাসহ বেশ কয়েকজন ভারতীয় ব্যবসায়ীর।
রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন বিনিয়োগকারীদের প্রতারণা এবং কর্মকর্তাদের ঘুসের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ এনে আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ধনকুবের গৌতম আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে মার্কিন বিচার বিভাগ এবং মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।
জানা গিয়েছে এ মামলায় গৌতম আদানির পাশাপাশি সাগর আদানি, আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেডের নির্বাহী এবং আজিউর পাওয়ার গ্লোবাল লিমিটেডের নির্বাহী সিরিল কাবানেসকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। যদিও এই সব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে আদানি গোষ্ঠী।
এ মামলা প্রসঙ্গে আদানির মুখপাত্র ইতিমধ্যেই বলেছেন, ‘মার্কিন বিচার বিভাগ এবং মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আদানি গ্রিনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা ভিত্তিহীন এবং আমরা তা অস্বীকার করছি। এমনিতেও সেই বিবৃতিতেই মার্কিন বিচার বিভাগ বলেছে- এই চার্জগুলি শুধু অভিযোগ মাত্র এবং অভিযুক্তকে ততক্ষণ নির্দোষ বলে গণ্য করা হবে যতক্ষণ না এই সব অভিযোগ প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে।’
অবশ্য আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভারতীয় কর্মকর্তাদের ঘুসের প্রস্তাব দিয়ে কয়েক বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছিল তারা। এরই মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করে তারা টাকা তুলেছিল বাজার থেকে।
দাবি করা হয়েছে, ২০২১ সালের জুলাই এবং ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আদানি গোষ্ঠী। ভারতীয় কর্মকর্তাদের ২৫ কোটির ডলারেরও বেশি ঘুষের প্রস্তাব দিয়ে সৌরশক্তি সরবরাহের লাভজনক চুক্তি পেয়েছিল আদানি। এই চুক্তিগুলো থেকে ২০ বছরে ২০০ কোটি ডলারের বেশি মুনাফা অর্জনের আশা করা হয়।
পিএনএস/এএ
এবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টে নতুন মামলা আদানির বিরুদ্ধে
25-11-2024 11:58AM