পিএনএস ডেস্ক: গাজা উপত্যকা পুনর্গঠনের জন্য মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি পাঁচ বছর মেয়াদী পাঁচ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের তহবিল তৈরির প্রস্তাব তুলে ধরেছেন। সে প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে আরব লীগ ও জাতিসংঘ।
এই তহবিলের লক্ষ্য হলো গাজায় ভবন, রাস্তাসহ সব অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ এবং ফিলিস্তিনিরা যেন নিজ ভূমিতেই থাকতে পারেন সে পরিস্থিতি তৈরি করা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি গাজাকে খালি করে সেখানে ভ্রমণ গন্তব্য তৈরির পরিকল্পনার কথা বলেন। এর বিপরীতে আরব লীগ এই প্রস্তাব গ্রহণ করে।
সিসির পাঁচ বছর মেয়াদী পরিকল্পনার প্রথম দুই বছর দুই লাখ আবাসিক ভবন তৈরির কথা বলা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ২০৩০ সাল পর্যন্ত আরও দুই লাখ হাউজিং ইউনিট, একটি বিমানবন্দর, বাণিজ্যিক এলাকা, হোটেল ও পার্ক তৈরির কথা বলা হয়েছে। মোট ৩০ লাখ মানুষের থাকার জায়গা তৈরি করার কথা বলেছে।
জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছে। জাতিংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস তার পূর্ণ সমর্থনের কথা ব্যক্ত করেছেন।
সৌদি আরব ও আরব আমিরাতের মতো ধনী উপসাগরীয় দেশগুলো এই উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা দেবে। তবে তারা হামাসকে সরাসরি সহযোগিতা করবে না। যুক্তরাষ্ট্র চায় গাজা যেন হামাস নিয়ন্ত্রণ না করে। মিসরের প্রস্তাব, গাজা নিয়ন্ত্রণ করবে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তা নিশ্চিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর কথা আলোচিত হচ্ছে।
আগামী মাসে তহবিল সংগ্রহে একটি সম্মেলন আয়োজন করবে মিশর। তবে এসব উদ্যোগ এখনো অনিশ্চয়তায় ঝুলছে। কারণ ইসরায়েল হামাসকে পুরোপুরি নিরস্ত্র করার দাবি করেছে। অন্যদিকে, হামাস বলছে এটা হলে ‘রেড লাইন' অতিক্রম করা হবে।
প্রায় ১৪ মাসের গাজা যুদ্ধে উপত্যকার ৭০ ভাগ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে প্রায় পাঁচ কোটি টন ধ্বংসাবশেষে ঢেকে গেছে পুরো অঞ্চল।
পিএনএস/এএ
গাজা পুনর্গঠনে ৫৩০০ কোটি ডলারের পরিকল্পনা: জাতিসংঘ-আরব নেতাদের সমর্থন
06-03-2025 01:17AM
