পিএনএন ডেস্ক: ইউরোর শেষ ষোলোর ম্যাচে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ের খেলায় পেনাল্টি পেয়েছিল পর্তুগাল। যেখানে গোল করতে না পেরে অঝোরে কেঁদেছিলেন পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো। তাকে সান্ত্বনা দিতে দেখা গেছে দলের বাকি ফুটবলারদের। রোনাল্ডোর সেই কান্নার ছবি সে সময় বেশ সারা ফেলেছিল। সেই ঘটনার দুই মাস পর অবশেষে কান্নার কারণ জানালেন রোনাল্ডো।
সেদিন ম্যাচে ওই গোল মিস করায় পর্তুগালকে যেতে হয়েছিল টাইব্রেকারে। যেখানে অবশ্য শেষ হাসিটা হেসেছে রোনাল্ডোর পর্তুগালই। টাইব্রেকারে গোল করে সমর্থকদের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইতেও দেখা গেছে রোনাল্ডোকে। স্বাভাবিকভাবেই তাই প্রশ্ন উঠেছে, গোল মিস করায় তার দল হেরে যাবে এটা ভেবেই কি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন রোনাল্ডো।
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এক আলোচনায় সেই প্রসঙ্গ উঠতে এ নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন রোনাল্ডো। বলেন, ‘প্রশংসা করার চেয়ে সমালোচনা করা অনেক বেশি সহজ। ক্রিস্টিয়ানোকে নিয়ে কথা বললে যা প্রথম পাতায় জায়গা হবে, এটিই স্বাভাবিক। কারণ, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানুষ আমাকেই অনুসরণ করে। সেটা স্রেফ আমার সুন্দর মুখায়বের কারণে নয়, সবকিছু মিলিয়েই-গোল, ফুটবল, ট্রফি, পরিবার, জীবনাচরণ, সব কিছু মিলিয়েই। লোকে আমাকে পছন্দ করে বলেই অনুসরণ করে। সমালোচনাও এটিরই অংশ। এসব থাকবেই, সমস্যা নেই।’
রোনাল্ডো এরপর বলেন, ‘পেনাল্টি মিস করেছিলাম… ওবলাক দারুণভাবে বাঁচিয়েছিল। তবে এমন নয় যে, পেনাল্টি মিস করায় পর্তুগাল বাদ পড়ে যাবে, গোটা পৃথিবী আমার ওপর ভেঙে পড়বে, এসব কারণে কান্না করেছি। যারা আমাকে চেনে না, তারা এসব জানে না। আগের ২৭ পেনাল্টির সবকটিই গোল করার পর ওই সময়ে পেনাল্টিতে ব্যর্থ হলে নিজের ভেতরই খারাপ লাগা কাজ করে। যে মানুষগুলি খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে এসেছে, কারও সন্তান, কারও মা, কারও বান্ধবি… এসব ভেবে আমার খারাপ লেগেছে।’
রোনাল্ডো আরও বলেন, ‘আপনার কি মনে হয়, আমি পেনাল্টি মিস করায় গোটা পর্তুগাল ভেঙে পড়বে… লোকে বলবে যে ক্রিস্টিয়ানোর কারণে পর্তুগাল বাদ পড়ে গেছে… এসব কারণে কান্না করেছি? আমি তো ওসব ভাবিইনি। ঈশ্বরের শপথ! আমি ব্যর্থ হয়েছিলাম, কারণ নিজের ওপর চাপ নিয়েছিলাম। ১১ বছর বয়স থেকেই সেই চাপ নিজের ওপর নিয়েছি যে, বিশ্বের সেরা ফুটবলার হতে চাই।’
এসএস
সেদিন কেন অঝোরে কেঁদেছিলেন রোনাল্ডো, জানালেন নিজেই
29-08-2024 04:21PM