নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিপ মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করলেন না রাচিন রবীন্দ্র। ৫ বল খেলে মাত্র ২ রান করে মাথা নিচু করে সাজঘরের পথে হাঁটতে শুরু করলেন মুশফিকুর রহিম। ধারাভাষ্যে তখন ইয়ান স্মিথ বলছিলেন, এত অভিজ্ঞতা নিয়ে এমন শট!
বাংলাদেশ দলে অভিজ্ঞদের একজন মুশফিকুর রহিম। প্রায় ২০ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১৪টি বৈশ্বিক আসরে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে কাগজে কলমে আর বাস্তবতায় অভিজ্ঞতায় যে বড় ফারাক আছে সেটাই যেন দেখালেন। একজন সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে দলের বিপদের মুহূর্তে দায়িত্ব নিতে মুশফিক ব্যর্থ আবারও।
ভারতের বিপক্ষে হারের পর বাংলাদেশের জন্য টিকে থাকতে জয়ের বিকল্প নেই। এমন ম্যাচে আবারও টপঅর্ডারের ব্যর্থতায় বড় দায়িত্ব ছিল মুশফিকের কাঁধে। যেখানে পুরোপুরি ব্যর্থ হলেন বাজে শট খেলতে গিয়ে। এই ম্যাচে সমীকরণ ছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে খেলাতে হলে বাদ পড়তে হবে মুশফিকুর রহিম কিংবা টপঅর্ডার থেকে যে কাউকেই। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে শূন্য রানেই ফিরেছিলেন মুশফিক। তারপরেও বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজমেন্ট বেছে নিয়েছিলেন অভিজ্ঞ উইকেটকিপার এই ব্যাটারকেই। যে কারণে বাদ পড়তে হয় সৌম্য সরকারকে। যদিও টাইগার এই ওপেনারও সবশেষ ম্যাচে রানের খাতা খুলতে পারেননি।
সবশেষ ৩ ওয়ানডেতে মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৩ রান। আইসিসির ইভেন্টে বাঁচা-মরার এমন ম্যাচে মুশফিকের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের কাছ থেকে এমন ব্যাটিং চরম হতাশার। অবশ্য খারাপ ফর্মটা অনেকদিন ধরেই টানছেন মুশফিক। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে নামার আগে বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলেছেন তিনি। মুশির দল শিরোপা জিতলেও ব্যাট হাতে বিবর্ণ ছিলেন এই ব্যাটার। ১৪ ম্যাচে ২৬ গড়ে মাত্র ১৮৪ রান করেছেন তিনি। যেখানে একক সংখ্যায় আউট হয়েছেন একাধিকবার। এমনকি ফাইনাল ম্যাচে মাত্র ১৬ রান করে দলকে বিপদের মুখে ফেলে এসেছিলেন তিনি।
বিপিএল খেলার আগে এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে রাজশাহীর হয়ে খেলেছিলেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। সেখানে রান পেলেও ছিলো না ম্যাচ জেতানোর মতো ইনিংস। একই সময়ে চলা ক্যারিবিয়ান সিরিজে যেতে পারেননি হাতের ইনজুরির কারণে। আফগানদের বিপক্ষে কিপিং করতে গিয়ে হাতে চোট পান মুশফিক। চোট পাওয়া সেই ম্যাচে দলের বিপদের সময় মাত্র ১ রান করে ফিরেছেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
প্রসঙ্গত, জাতীয় দলে মুশফিকের ‘অটো চয়েজ’ হিসেবে জায়গা পাওয়ার কিছু কারণও থাকতে পারে। ব্যাটে হাতে রান সংকটে ভোগায় জাতীয় দল থেকেই বাদ পড়েছেন লিটন দাস। অন্যদিকে, জাকের আলী দলের সঙ্গে থাকলেও তার কিপিংয়ের দক্ষতা বেশ নাজুক। এছাড়া ব্যাট-গ্লাভসে দারুণ পারফর্ম করা কোনো ক্রিকেটার তুলে আনতে পারেনি বিসিবি। সবমিলিয়ে, ব্যাট হাতে বাজে ফর্মে ভুগেও দলে টিকে যাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম।
এসএস
মুশফিককে জায়গা দিতেই বাদ পড়েন সৌম্য
24-02-2025 05:43PM
