গ্রেফতার আতঙ্কে ঘর ছাড়া কুমিল্লা বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা

  25-07-2024 04:41PM

পিএনএস ডেস্ক: কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় কুমিল্লায় আট মামলায় অন্তত ৮ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা।

গত পাঁচ দিনে এসব মামলায় ১৫৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলায় উঠে আসে পুলিশের ২টি ও বিজিবির একটি গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা। গ্রেফতার সবাই বিএনপি ও জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত।

বৃহস্পতিবার মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান। তিনি জানান, সহিংসতার ঘটনায় গত কয়েকদিনে ১৩৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। যাদের বেশির ভাগ বিএনপি- জামায়াতের নেতাকর্মী।

সূত্র জানায়, সদর দক্ষিণ মডেল থানায় তিনটি, কোতয়ালী মডেল থানায় ২টি, দাউদকান্দি থানায় দু’টি এবং বুড়িচং থানায় একটি। ৮টি মামলার মধ্যে ৬টির বাদী হয় পুলিশ। সদর দক্ষিণ থানায় ৩৪ জনের নামসহ ও অজ্ঞাত সাড়ে ৭ হাজার মানুষকে আসামি করা হয়। বুড়িচং থানার মামলায় ৮ জনের নামে ও অজ্ঞাত ৪০ মানুষের বিরুদ্ধে নামে মামলা দায়ের করা হয়। দাউদকান্দি থানায় ২টি মামলায় ৩৬ জনের নামে ও অজ্ঞাত ২৮০ জনকে আসামি করা হয়। কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় রাজনৈতিক নেতারা বাদী হয়ে দুইটি মামলা দায়ের করেন।

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শফিউল আলম রায়হান জানান, সরকারের নির্বিচারে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে ১৯ জুলাই নগরীতে শান্তিপূর্ণ মিছিল করার প্রস্তুতি নেন তারা। সে সময় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর গুলি ও কুপিয়ে আহত করে। ভাঙচুর করা হয় দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন-উর রশিদ ইয়াছিনের নিমতলীর বাসা ও নবাব বাড়ি চৌমুহনীতে অবস্থিত মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লার টিপুর ব্যক্তিগত অফিস। এ সময় ইউসুফ মোল্লা টিপুসহ ১০ জন গুলিবিদ্ধ হন। আহত হন আরো ২০ জন। এসব ঘটনায় যারা হামলা চালিয়েছে তারাই উল্টো বিএনপির দুই নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

এসএস

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন