পিএনএস ডেস্ক: গাজীপুর মহানগরীর হারাবো এলাকায় বেক্সিমকোর ১৬ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে আজ শনিবার (২১ ডিসেম্বর) চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। এতে ওই পথে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকার চার ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হয়।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশের এসপি মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, গাজীপুর মহানগরীর সারাব এলাকার বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বন্ধ ঘোষণা করা ১৬ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
শিল্প পুলিশ ও কারখানার শ্রমিকরা জানান, কারখানার মালিকের সমস্যার জন্য কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। এসব কারখানায় ৩০-৪০ হাজার শ্রমিক কাজ করে, তাদের কী হবে? হাজার হাজার শ্রমিকের পরিবার কীভাবে চলবে? তাই এক দফা এক দাবি, বন্ধ হওয়া সব কারখানা খুলে দিতে হবে।
শিল্প পুলিশ ও কারখানার শ্রমিকরা আরও জানান, বিভিন্ন অজুহাতে গাজীপুরের সারোব এলাকার বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কারখানাগুলো বন্ধ ঘোষণার পর গত বৃহস্পতিবার কয়েক হাজার শ্রমিক বিক্ষোভ করেন। দুপুর থেকে বিক্ষোভ শুরু হয় এবং চন্দ্রা-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করা হয়। খবর পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরে গিয়ে কারখানার সামনে অবস্থান নিতে বলে। বারবার বলার পরও শ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে না গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়। একপর্যায়ে কিছু উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। পরে তাদের ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ ঘটনায় শুক্রবার শ্রমিকরা সড়কে নামেনি। তবে এক দিন বিরতি দিয়ে আজ শনিবার সকাল থেকে শ্রমিকরা বন্ধ ঘোষণা করা কারখানাগুলো খুলে দেওয়ার দাবিতে ফের বিক্ষোভ শুরু করেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চন্দ্রা-নবীনগর সড়কের জিরানী ও চক্রবর্তী এলাকায় কাঠের গুঁড়ি ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এ ছাড়া আশপাশ থেকে ময়লা-আবর্জনা এনে সড়কে ফেলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন ওই সড়কে চলাচলকারীরা। খবর পেয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশ, কাশিমপুর থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়। দুপুর দেড়টার দিকে শ্রমিকরা সড়ক ছেড়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এসএস
বেক্সিমকোর ১৬ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে সড়ক অবরোধ
21-12-2024 06:05PM