প্রেমের ফাঁদে ফেলে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

  25-01-2025 10:32AM

পিএনএস ডেস্ক: মোবাইল ফোনে পরিচয়। এরপর দু’জনের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। সেই সূত্রে দেখা করতে এলে প্রেমিক ও তার সহযোগীদের দ্বারা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী।

ঘটনাটি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতের এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী তরুণী (১৯) গৌরীপুর উপজেলার বাসিন্দা। অন্যদিকে অভিযুক্তরা ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের চট্টি গ্রামের বাসিন্দা। তারা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম (২৪), শান্ত মিয়া (১৯), জীবন মিয়া (২২) ও মো. নাঈম মিয়া (১৯)। এদের মধ্যে জীবন ও নাঈম কৃষিকাজ করেন এবং জাহাঙ্গীর ও শান্ত ইজিবাইক চালক।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, প্রায় এক বছর আগে ফোনে ইজিবাইকচালক জাহাঙ্গীর আলমের (২৪) সঙ্গে আমার পরিচয় ও সম্পর্ক হয়। সেই সুবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে গৌরীপুর পৌর শহরের পাটবাজারে দেখা করি দুজন। সেখান থেকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে আমাকে ডেকে নিয়ে যায় জাহাঙ্গীর। পরে সন্ধ্যার পর আমাকে চট্টি গ্রামের একটি নির্জন বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে আগে থেকেই একজন অবস্থান করছিলেন। আর জাহাঙ্গীরের সঙ্গে ইজিবাইকে ছিলেন আরও দুজন।

তিনি আরও বলেন, এরপর সেখানে নিয়ে চারজন মিলে তারা আমাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। তাদের কাছ থেকে বাঁচতে কত কান্নাকাটি করি, তবুও রক্ষা পাইনি। একপর্যায়ে আমাকে ঘর থেকে একটি খোলা মাঠে নিয়ে মারধর করা হয়। বলা হয়, পরিবারের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা এনে দিতে পারলে ছেড়ে দেওয়া হবে। তখন আমার কান্নাকাটি ও চিৎকার শুনে জুয়েল মিয়া নামে স্থানীয় এক কৃষক সেখান থেকে আমাকে উদ্ধার করে। আমি এই নির্যাতানের উপযুক্ত বিচার চাই।

ভুক্তভোগী তরুণীকে উদ্ধারকারী জুয়েল মিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে বোরো ধানের জমিতে সেচ দিতে গিয়ে একটি মেয়ের চিৎকার শুনতে পাই। শুরুতে ভয় পেলেও টর্চের আলোতে চার তরুণ ও এক তরুণীকে দেখি। তারা সবাই আমার এলাকার ছেলে।

তিনি আরও বলেন, আমি কে কে বলে চিৎকার করতেই মেয়েটি দৌঁড়ে আমার কাছে এসে বলতে থাকে, বাবা আমারে বাঁচাও। এ সময় ওই চারজন দৌঁড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।


এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার পর থেকে চারজনই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।


পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন