ভুয়া পরিচয়ে বিয়ে করা যার পেশা...

  04-01-2018 10:32AM

পিএনএস ডেস্ক: রনি রানা ওরফে গনি ওরফে লিটন। বয়স ৩৫। সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট পরিচয়ে ছয় মাস আগে বিয়ে করেন তিনি। শ্যালককে সৈনিক পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছাড়েন। কোনোভাবেই খোঁজ মিলছিল না তাঁর। শেষে ধরা পড়লে গণপিটুনি দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার হরিনগর গ্রামে গত সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে। গতকাল বুধবার ছিল তাঁর রিমান্ড শুনানির দিন। আদালত রিমান্ড মঞ্জুর না করে তাঁকে কারাগারে পাঠান।

পুলিশ বলছে, এর আগেও রনি রানা পৃথক দুটি ঘটনা ঘটিয়ে স্ত্রীদের করা মামলায় জেল খেটেছেন। অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে একাধিক বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির লোকদের চাকরি দেওয়ার কথা বলে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।

প্রতারক রনি রানার বাড়ি নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার মধুপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আব্দুল হেকিম। ঘটক আবু বকরের সহায়তায় গত বছরের জুলাই মাসে কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের হরিনগর গ্রামের আবুল হাসেমের মেয়ে তাসলিমা বেগমের (১৯) সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। এরপর বিশেষ ছুটির কথা বলে টানা এক মাস শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করেন রনি রানা। এর মধ্যে শ্যালক আলমগীরকে সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে দুই কিস্তিতে দুই লাখ টাকা নেন। চাকরি দেওয়ার কথা বলে শ্বশুরবাড়ির আরো অনেককে টাকা প্রস্তুত রাখতে বলেন। কর্মস্থলের কথা বলে পরে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে গেলেও মাঝেমধ্যে আসতেন। একপর্যায়ে তাঁর আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ করে দেন তিনি।

এ অবস্থায় কাবিননামায় দেওয়া ঠিকানায় খোঁজ করতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী তাসলিমা জানতে পারেন ঠিকানাটি ভুয়া। পরে বিভিন্নভাবে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় সেনাবাহিনীতে তিনি চাকরি করেন না। তিনি একজন প্রতারক। তাসলিমা পরে রনি রানার প্রতারনার বিরুদ্ধে নেত্রকোনা পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

কেন্দুয়া থানার উপপরিদর্শক নুরুল আমীন জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর প্রযুক্তির সহায়তায় নিশ্চিত হওয়া যায় প্রতারক রনি রানা নান্দাইল উপজেলার হাটিশিরা বাজারে অবস্থান করছেন। তাঁকে শনাক্ত করতে গত সোমবার সেখানে পাঠানো হয় তাসলিমাকে। শনাক্ত করার পর তাঁকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে থানায় সোপর্দ করা হয়।

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন