শেরপুরে হাসপাতালের মালিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা: গ্রেফতার ২

  19-02-2018 05:28PM

পিএনএস, শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা : বগুড়ার শেরপুরে পালস্ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতক ও প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিহতের নাম পুতুলী রানী (২৫)। তিনি উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাঝর গ্রামের শ্রী শিবেনের স্ত্রী। উক্ত ঘটনায় রোববার (১৮ফেব্রুয়ারি) রাতে ওই প্রসূতির স্বামী বাদি হয়ে হাসপাতালের মালিকসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- অত্র হাসপাতালের মালিক ডা. আখতারুল আলম আজাদ, গাইনী সার্জন ডা. লুৎফুন নেছা, ব্যবস্থাপক আমিনুর ইসলাম ও স্টাফ ইউসুফ আলী। পরে পুলিশ হাসপাতালটিতে অভিযান চালায়। এসময় অভিযুক্তদের মধ্যে আমিনুর ও ইউসুফকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি আঁচ করতে পেরে মামলার অন্যতম আসামি ডা. আখতারুল আলমসহ অন্যরা পালিয়ে যান।

শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের পশ্চিমপাশে হামছায়াপুর কাঁঠালতলা এলাকায় পালস্ জেনারেল হাসপাতালটি অবস্থিত। গত শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত অনুমান ২টার দিকে প্রসব বেদনার কারণে ওই প্রসূতিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সময় হাসপাতালের আয়া নার্স ছাড়া উল্লে¬খ করার মত কোন চিকিৎসক ছিলেন না। এরপরও কর্তৃপক্ষ আইনের চরম ব্যতয় ঘটিয়ে ওই প্রসূতিকে এই হাসপাতালটিতে ভর্তি করায়। একপর্যায়ে রোববার সকালের দিকে তাঁর অপারেশন করানো হয়।

এসময় নবজাতক মারা যায়। একইসঙ্গে ওই প্রসূতিও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তিনিও মারা যান। পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মরিয়া হয়ে উঠেন। এরই ধারাবাহিকতায় উন্নত চিকিৎসার কথা বলে ওই প্রসূতির লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু শজিমেক কর্তৃপক্ষ জানায়, এখানে নিয়ে আসার অনেক আগেই প্রসূতি পুতুলী রানী মারা গেছেন। পরে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়ায় পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালটিতে অভিযান চালিয়ে ব্যব্স্থাপক ও স্টাফকে গ্রেফতার করা হয়।

অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে দাবি করেন ওসি রফিকুল ইসলাম। এদিকে ঘটনাটি সম্পর্কে বক্তব্য জানতে হাসপাতালের মালিক ডা. আখতারুল আলম আজাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই পলাতক থাকায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। এমনকি হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা কোন কর্মকর্তাই ঘটনাটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজী হননি।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন