রামপালে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আত্মসমর্পনকৃত জলদস্যুদের বিরুদ্ধে ঘের দখলের অভিযোগ

  13-04-2018 06:16PM

পিএনএস, স্টাফ রিপোর্টার (বাগেরহাট) : রামপালে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আত্মসমর্পনকৃত জলদস্যু আলী ইজারদারসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরদ্ধে মৎস্য ঘের দখল ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় অবিযোগকারী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আবু জাফর শেখ আদালতের দারস্থ হলেও অজ্ঞাত কারনে প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন।

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার কালিকা প্রসাদ গ্রামের মৃতঃ হাতেম শেকের পুত্র আবু জাফর শেখের বৈধ মৎস্য ঘেরটি একই এলাকার নুর মোহাম্মাদের পুত্র আত্মসমর্পনকৃত দূর্ধর্ষ বনদস্যু লিটন আলী ওরফে আলী ইজারদার ওরফে ওলি মৎস্য ঘেরটি দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করে। এঘটনায় ভুক্তভোগী গত ২৬ ফেব্রুয়ারী বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মিস মামলা (১৮/২০১৮, রামপাল) দায়ের করেন। আদালত তফশীলভুক্ত জমির উপর ১৪৪ ধারার আদেশ দেন। এরপর রামপাল থানা পুলিশ ওই ঘেরের উপর গত ২৭ ফেব্রুয়ারী নোটিশ জারি করেন।

এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী দূর্ধর্ষ বনদস্যু আলী ইজারদার, তার ভাই আরীফ ইজারদার, রজব মোল্যা, মহিউদ্দিন মোল্যা, গাউছ মোল্যা, আমজাদ ইজারদার, আবজাল খানসহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কালিকা প্রসাদ গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিক সংলগ্ন মৎস্য ঘেরটি লুটপাট করে। এতে ওই ব্যবসায়ীর ঘেরে থাকা বিভিন্ন প্রকারের মাছ লুটপাট করে নিয়ে যায় এবং ঘেরে থাকা ব্রোধান বিনষ্ট করে। এতে তার অর্ধালক্ষাধীক টাকা ক্ষতি হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। কোথাও কোন প্রতিকার না পেয়ে নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগী বাগেরহাট বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। সরজমিন গিয়ে ওই দখলবাজদের পুনরায় মৎস্য ঘের থেকে মাছ ধরতে দেখা যায়। অভিযুক্ত আলী ইজারদারসহ তার লোকজনের সাথে কথা বললে তারা জানান, ওই ঘেরটিতে তাদের মাতুল সম্পত্তি রয়েছে।

আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে এমন বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তারা জানান, চেয়ারম্যান আমাদের এই ঘেরটি দখলে নিয়ে মৎস্য চাষ করতে বলেছেন তবে মৎস্য ঘেরের বাসাটি পুড়িয়ে ফেলার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। ভুক্তভোগী আবু জাফর বৃহস্পতিবার দুপুরে রামপাল থানার ওসির দারস্থ হলে তিনি তাকে গৌরম্ভা ফাঁড়িতে গিয়ে রিপোর্ট করার পরার্মদেন বলে জানান।

এ বিষয়ে রামপাল থানার ওসি শেখ লুৎফর রহমানের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি বলেন বিষয়টি আমি দেখছি বলে গৌরম্ভা পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জকে ঘটনাস্থলে যেতে বলেন। এলাকাবাসী ওই এলাকা থেকে আত্মসমর্পনকারী বনদস্যুদের উপর নজরদারী বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন