পিএনএস ডেস্ক: শরীয়তপুর সদর উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগে দেলোয়ার ছিপাই ( ৩৭) নামে একজন ভ্যানচালককে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২০ জুলাই) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ মাহমুদপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এর আগে সকালে শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে দেলোয়ারের বিরুদ্ধে পালং মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
আটক দেলোয়ার ছিপাই উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মাহমুদপুর গ্রামের ইসমাইল ছিপাইর ছেলে। সে পেশায় একজন ভ্যান চালক।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী জানায়, ধর্ষণের শিকার ছাত্রী মাহমুদুপুর খাপারা দাখিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ২৮ মে (মঙ্গলবার) দুপুরে প্রতিবেশি দেলোয়ার ছিপাইর বাড়ির (চার দিকে টিনের বেড়া দেয়া) টিউবওয়েলে গোসল করতে আসে ওই তরুণী। তখন মুষলধারে বৃষ্টি ছিল। আশেপাশে লোকজন না থাকায় ওঁৎ পেতে থাকা দেলোয়ার ছিপাই টিনের বেড়ার ভিতর ঢুকে টিউবয়েলের ফ্লোরে ফেলে ওই তরুণীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। কাউকে বিষয়টি বললে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। সেই ভয়ে এতোদিন কাউকে কিছু বলেনি তরুণী।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) তরুণী অসুস্থ হয়ে পরলে পরিবার তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ধারণা করা হচ্ছে তরুণী দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি লোকমুখে জানাজানি হলে দেলোয়ারের পরিবার, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বার বিষয়টি সমাধানের জন্য (গর্ভপাত) হাসপাতালে আসেন।
মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান ঢালী বলেন, ধর্ষণের ঘটনাতো আমরা সমাধান করতে পারি না। এর বিচার করবে আদালত। ঘটনা শুনে শুক্রবার স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুন মাদবরকে নিয়ে মেয়েটাকে দেখতে গিয়েছিলাম। যে মেয়েটার এ অবস্থা করেছে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।
ছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়ের এ অবস্থার জন্য দেলোয়ার ছিপাই দায়ী। দেলোয়ারের বিরুদ্ধে আমি থানায় মামলা করেছি। ওর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। আমি এলাকায় মুখ দেখাবো কি করে।
পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে দেলোয়ার ছিপাই নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা কিনা জানতে সদর হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষা চলছে।
পিএনএস/এএ
গোসলের সময় মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণ, ভ্যানচালক আটক
20-07-2019 05:58PM