এ রায় অন্য আলোচিত মামলায় গতি আনবে: আইনমন্ত্রী

  30-09-2020 09:23PM

পিএনএস ডেস্ক : বরগুনার রিফাত হত্যার মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, এ রায় দেশের অন্যান্য আলোচিত মামলায় প্রভাব ফেলবে। মামলা নিষ্পত্তিতে গতি আনবে।

তিনি বলেন, এ রায় নিঃসন্দেহে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বুধবার আনিসুল হক সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, আমার ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা এসব চাঞ্চল্যকর মামলার নিষ্পত্তির মধ্য দিয়ে যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করছি। বিশেষ করে প্রসিকিউশন টিম এসব মামলার ব্যাপারে সিরিয়াস ভূমিকা রাখছে, যা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে এবং আমি শুকরিয়া আদায় করি।

আলোচিত অনেক মামলার নিষ্পত্তিতে ধীরগতি লক্ষণীয়- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অপরাধ করলে মামলা হয়নি বা মামলা হলেও নিষ্পত্তি হয়নি বিএনপি-জামায়াতের আমলে। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার সেই নীতি ভেঙে দিয়েছে। যেসব মামলা সমাজকে নাড়া দিয়েছে তার নিষ্পত্তি দিয়ে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। এ গুরুত্বের কারণেই মানুষ রায় পাচ্ছে এবং সবাই আইনি সুবিধা ভোগ করতে পারছে।

রিফাত হত্যা মামলার রায় প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আদালত সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে রায় দিয়েছে। এখানে আমার প্রতিক্রিয়া জানানোর কিছু নেই। রায়ের কপি না পড়লে কিছুই বলা ঠিক হবে না। রায়ের সার্বিক পর্যালোচনা থেকে বলতে পারি, নিশ্চয় বিচার বিভাগে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। একটি মামলা নিষ্পত্তির জন্য যেসব পক্ষ সংশ্লিষ্ট তারা সবাই রায় থেকে গতি সঞ্চার করতে পারবে।

বুধবার বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায়ে রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় চারজনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

এদিন দুপুর পৌনে ২টার দিকে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)।

এছাড়া এ মামলায় চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)।

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শত শত লোকের ভিড়ে রিফাত শরীফকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

ঘটনার পরদিন ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহত রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দু’ভাগে বিভক্ত করে ২৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এতে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ৮ জানুয়ারি থেকে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন আদালত। এ মামলায় মোট ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

পিএনএস/এসআইআর


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন