অনুপ্রবেশকারী নিয়ে ছাত্রলীগ নেতার খোলা চিঠি

  26-04-2018 10:10PM

পিএনএস : অছাত্র, বিবাহিত ও অনুপ্রবেশকারী নিয়ে ছাত্রলীগের বিতর্ক দেশে ছাড়িয়ে এবার বিদেশ জুড়ে। এই বিতর্ক নিয়ে প্রবাসী এক ছাত্রনেতা সভাপ্রতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে খোলা চিঠি দিয়েছেন। সাবেক ছাত্রলীগ নেতার চিঠিটি হুবহু দেওয়া হলো।

বরাবর
সভাপতি /সম্পাদক
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ।

বিষয়: গঠন তন্ত্র, বহিঃভূত কাজ করায় গ্রিস ছাত্রলীগের মেয়াদ উত্তীর্ণ অযোগ্য অছাত্র সভাপতি এবং অযোগ্য বিবাহিত সাধারণ সম্পাদক কে বহিষ্কারের দাবি প্রসজ্ঞে।

আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ১৯৪৮ সালে জাতির জনক বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া প্রাণের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কে আমি মনে প্রাণে ভালোবাসি কিন্তু দুঃখের বিষয় বিগত ২৫. ৪..২০১৮ তারিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জান্তে পারলাম আমার বিরুদ্ধে গ্রিস ছাত্রলীগ নাম দারী জামাত বিএনপি থেকে আসা অযোধ্য অছাত্র সভাপতি ও বিবাহিত সাধারণ সম্পাদক আমার রাজনৈতিক জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তাঁদের দলীয় পেডে আমার নাম উল্লেখ্য করে মিথ্যা বানোয়াট সাজানো নাটক করে লিখেছে, আমি না কি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দর বিরুদ্ধে অপ প্রচার চালাচ্ছি, আমি চেলেঞ্জ করে বলতে চাই কখনো কোথায় কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে লিখেছি যদি কোনো প্রমাণ থাকে তাহলে স্কিনশট দিয়ে আমাকে দেখাবেন আর যদি তা না দেখাতে পারেন তাহলে কান দরে উঠ বস করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগে থেকে সরে যাবে। আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি /সাধারণ সম্পাদকের কাছে জানতে চাই জেলা সমমান কমিটির কোনো কর্মীকে বহিষ্কার করার ক্ষমতা শুধু কেন্দ্রীয় সভাপতি/সম্পাদক ছাড়া আর কারো নেই। তাহলে গ্রিস ছাত্রলীগের অযোগ্য অছাত্র সভাপতি অযোগ্য বিবাহিত সাধারণ সম্পাদক কোন কারনে আমার নাম উল্লেখ্য করে। তাঁরা কারা জানতে চাই?

গ্রিস ছাত্রলীগের সভাপতি অযোগ্য সে এস এস সি পাস করতে পারে নাই আর ওরা কোনো দিন দেশে ছাত্রলীগ করে নাই এবং সাধারণ সম্পাদক বিবাহিত অযোগ্য ওরা দুজনের কোনো যোগ্যতা নেই বলে তাঁরা প্রমাণ করছে এবং আমার জনপ্রিয়তা, কতঠুকু তা তৃনমূল ছাত্রলীগ বলে দিবে গ্রিস ছাত্রলীগের আমার অবস্থান দেখে তাঁরা গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজ করেছে। শুধু বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি/ সম্পাদক ছাড়া আর করো এখতিয়ার নেই এবং শুধু কেন্দ্রীয় সভাপতি/ সম্পাদক যে কোনো সময় বহিষ্কার করার ক্ষমতা রাখেন।আমি দাবী জানাচ্ছি, এই অযোগ্য অছাত্র বিবাহিতদেরকে বহিষ্কারের জোর দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য...২০০১ থেকে, ২০১৮..
আমি মো:মুমিন খাঁন
তৃনমূল থেকে এসেছি উড়ে এসে জুড়ে বসি নাই। নিচে আমার রাজনৈতিক জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরা হলো।
জুড়ী সদর জায়ফরনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম- আহবায়ক ঐ কমিটির আহবায়ক ছিলেন বর্তমান জুড়ী উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখরুল ইসালম
এবং সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগ। ঐ কমিটির সভাপতি বর্তমান যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখরুল ইসলাম। সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন।
সাবেক সদস্য সিলেট মহানগর ছাত্রলীগ।
ঐ কমিটির সভাপতি রাহাত তরফদার ভাই।
সাধারণ সম্পাদক এমরুল হাসান ভাই।
এবং নাজমুল ভাই সোহাগ ভাই,রোটন ভাই, রিপন ভাই, সোহাগ ভাই, জাকির ভাইয়ের, কাছে থাকার, সুযোগ হয়ে ছিলো।দীর্ঘ দিন থেকে রাজনীতি করে আসছি। আর অযোগ্য অছাত্রদের এসব দেখে না লিখে পারলাম না,এই জন্য কিছু লিখলাম।

নিবেদক
মো: মুমিন খাঁন
সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগ।
সাবেক সদস্য সিলেট মহানগর ছাত্রলীগ।
সাবেক সিনিয়র,যুগ্ম আহবায়ক জুড়ী সদর জায়ফর নগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ। সাবেক যুগ্ম আহবায়ক শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ জুড়ী উপজেলা শাখা। সাবেক মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী।
উপ-প্রচার সম্পাদক
বঙ্গ বন্ধু ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ।
সাধারণ সম্পাদক জালালাবাদ এসোসিয়েশন গ্রিস শাখা।

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন