মাওলানা রশিদ গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার রাজনীতির মাঠের ম্যারাডোনা

  07-08-2018 04:52PM

পিএনএস (মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রধান) : গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার এলাকায় অ্যাডভোকেট মাওলানা রশিদ আহমেদ ব্যতক্রিমী জনপ্রয়ি এক ব্যক্তিত্ব। ঘুণেধরা সমাজের রাজনীতির মাঠে এমন জননন্দিত হতে পারে, সরেজমনি সেখানে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে না মিশলে সেটা গল্পই মনে হবে। অথচ তাকে এলাকার মানুষ রাজনীতির মাঠের ম্যারাডোনা মনে করেন।

সরে জমনি মাঠঘুরে জানা গছে, এ আসনটির নতুন প্রজন্মের ভোটাররা ধানের শীষের জন্য ব্যাকুল। দীর্ঘ ২১ বছর এখানে ধানের শীষ প্রতীক নির্বাচনের মাঠে না থাকায় অনুকূল ভোটাররা ব্যথিত। তারা আগামী নির্বাচনে শরীক নয়, বিএনপির প্রার্থী চান। এখানে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য যারা কাজ করছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম- অ্যাডভোকেট মাওলানা রশীদ আহমেদ, আবুল কাহের চৌধুরী শামিম, ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, নায়ক হেলাল খান, ফয়সাল চৌধুরী ও মকবুল হোসেন লিচু মিয়া।

অ্যাডভোকেট মাওলানা রশীদ আহমদ গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার এলাকার যিনি সমন্বয়কারী হিসেবে সব কমিটি করে কেন্দ্র থেকে অনুমোদন করান। বর্তমানে সে কমিটিগুলো বাতিল করা হয়েছে। তার পরও তিনি মাঠে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সুখে-দুঃখে পাশে আছেন। তার সম্পাদিত সাপ্তাহিক গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার সংবাদের মাধ্যমে এলাকার এবং দলীয় মুখপত্রের ভূমিকা নিরলসভাবে পালন করে যাচ্ছে। মাঠের মানুষ এবং তৃণমূল যার নানামুখী ভূমিকায় যারপরনাই খুশি। প্রায় দুই যুগ তার বাবা সফল ও খ্যাতিমান চেয়ারম্যান ছিলেন। ফলে জনগণের সঙ্গে তাদের একটা সম্পর্ক দীর্ঘদিনের।

উল্লিখিতদের মধ্যে আবুল কায়েস শামিম জেলা কমিটির সভাপতি। বছরে দুয়েকবার যিনি এলাকায় যান। প্রথম সারির নেতা ছাড়া অন্যদের সঙ্গে যার তেমন কোনো সম্পর্ক নেই। ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী ড্যাব নতা। জেলা কমিটির দুবারের আহ্বায়ক। জেলা সদরেই যাকে বেশি মানায়। কালেভদ্রে তিনি এলাকায় যান। জনসম্পৃক্ততা তমন একটা নেই। তৃণমূলের সঙ্গে যার সম্পর্ক নেই বললেই চলে। সে ক্ষেত্রে বহুভাষাবিদ মাওলানা রশীদ সব মহলে যাতায়াত সব সময়।

নায়ক হেলাল খান বছরে দুয়েকবার এলাকায় ক্ষণিকের জন্য যান। আবার ঢাকায় চলে যান। নায়ক হিসেবে মানুষ চনে বটে। তবে এলাকাটি ধর্মপ্রাণদের অধ্যুষিত হওয়ায় এ আসনটি তার জন্য হীতেবিপরীত হতে পারে। ফয়সাল চৌধুরী সাবেক ছাত্র নেতা। এলাকায় বিভিন্ন সময়ে পোস্টার ছাপিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং নিজের অস্তিত্ব জানান দেন। পোস্টারের মধ্যেই তিনি নিজেকে সীমিত রেখেছেন। এর বাইরে মাঠে তার আর কোনো তৎপরতা নেই। মানুষ তাদের সুসময়ের কোকলি মনে করে।

মকবুল হোসেন লেছু মিয়া সাবেক এমপি। তার আচরণ সম্পূর্ণ রহস্যময়। কমিটিতে নিজের পচন্দের লোকদের ঠাঁই করে দিতে জুড়ি নেই। কিন্তু নিজে স্থানীয় এমপি এবং শিক্ষামন্ত্রীর মন যোগাতে মরিয়া। তিনি প্রকাশ্যে বর্তমান এমপির পক্ষে এবং নিজ দলের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখছেন। এমনকি তার প্রতিষ্ঠানে স্বপ্রণোদিত হয়ে বর্তমান রাষ্ট্রমন্ত্রীকে এনে প্রথা অনুযায়ী গুণকীর্তন করছেন। এতে দলের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। দল-বদিল সবার সুখ-দুখের নরিলস সারথী মাওলানা আঃ রশিদ।

তৃণমূলের সঙ্গে শতভাগ সম্পৃক্ত মাওলানা রশিদ। তার মতো জনদরদি মানুষকে মনোনয়ন দেওয়া হলে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। কারণ তিনি সবার চেয়ে বেশি জনসম্পৃক্ত এবং সামাজিক কাজে অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি এগিয়ে। দলমত নির্বিশেষে মাঠপর্যায়ের সাধারণ মানুষ তাকে পছন্দ করে। তাকে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিলে সহজে এ আসনটি পাওয়া যাবে বলে এলাকার মানুষ প্রকাশ্যে বলাবলি করছেন।

এ আসনটি বিএনপির। এটিকে ফিরে পেতে মাঠের সবচেয় গ্রহণযোগ্য, সুপরিচিত এবং পরীক্ষিত ও দক্ষ সংগঠক বিশিষ্ট সমাজসেবক অ্যাডভোকেট মাওলানা রশিদ আহমেদকে মনোনয়ন দেয়া অধিক যুক্তিযুক্ত। তিনিই এ আসনের একমাত্র ব্যক্তি, যিনি কর্মগুণে সব দলমতের মানুষকে নিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পেরিয়ে আসার যোগ্যতা রাখেন। ওয়াজ-নসহিতের বদৌলতে নারীসমাজের কাছেও বহুভাষাবিদ এ ব্যক্তির ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এলাকার মাটি ও সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে যার সম্পর্ক যুগ যুগের, তিনি মাওলানা অ্যডভোকটে আবদুল রশদি আহমেদ। এলাকার মানুষ তাকে রাজনীতির মাঠের ম্যারাডোনা মনে করেন।

বিগত দিনগুলোয় বশে কয়কেবার সিলেটের বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ এলাকায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। সে সুবাদে সুযোগ হয়েছে অনেকের সঙ্গে মিশার। মিশতে গিয়ে দলমত নির্বিশিষে যা শুনেছি, নিখাঁদভাবে সে আলোকে লেখাটি তৈরির চেষ্টা করছে। অবশেষে খুঁজে পাই জনগণকে জাদু করা লোকটির সঙ্গে আলোচনার সুযোগ পাই। তার সঙ্গে আলাপে মাঠের রিপোর্টের সত্যতার অনেকটা মিল পাওয়া গেছে।

একজন আইনজীবী, সম্পাদক ও প্রকাশক, একজন আলেম, জনপ্রিয় ওয়াজকারী, বাবার তিন যুগের চেয়ারম্যানের দায়িত্বরে সুবাদে জনসেবক বনেদি পরিবারের এ লোকটির মধ্যে অহঙ্কারের লেশমাত্র নেই। বরং একের ভেতরে অধিক ভদ্রলোক মাওলানা অ্যাডভোকেট আবদুল রশিদ আহমেদ মানুষকে সহজে আপন করে নেওয়ার গুণটি যে কাউকে মুগ্ধ করে। এ যুগে অবাক করার মতো এমন জনহিতৈষী মানুষ রাজনীতিতে আছেন, এটা ভেবে ভালো লাগছে। মাঠ বলে দিচ্ছে নিজের কর্মগুণে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে বিজয়ী হওয়ার মতো গৌরবের অধিকারী মাওলানা রশিদ। বিএনপির মতো এলাকায় জনাপ্রিয় দলের আশীর্বাদ পেলে সেটা তার জন্য সোনায় সোহাগা হবে।

লখেক : বার্তা সম্পাদক- পিএনএস

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন