' নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপি-জামায়াত তিনশ' ফেসবুক পেইজ চালাচ্ছে'

  13-09-2018 10:25PM

পিএনএস : দেশবাসীকে ফেসবুক ও অনলাইনের গুজব থেকে সাবধান থাকার পরামর্শ দিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, দেশকে অস্থিতিশীল করতে জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপি-জামায়াত দেশের বাইরে থেকে তিনশ ফেসবুক পেইজ চালাচ্ছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের গুজব ছড়াচ্ছে। তারা এই ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য এবং অসত্য কিছু তথ্য প্রকাশ করে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ২২তম অধিবেশনে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সামশুল হক চৌধুরীর (চট্টগ্রাম-১২) সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে গুজব ছড়ানো ও সরকারের ইমেজ নষ্ট এবং ব্যক্তিগতভাবে মন্ত্রী-এমপিদের চরিত্র হনন করা তাদের (বিএনপি-জামায়াত) উদ্দেশ্য।

ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি পেইজ সনাক্ত করা হয়েছে জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক সময় অনলাইন পত্রিকাগুলোর নামে, প্রতিষ্ঠিত সংবাদ মাধ্যমের লোগো ব্যবহার করে গুজব ছড়ানো হয়। সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনের সময় বিবিসির লোগো ব্যবহার করেও এ ধরনের গুজব ছড়ানো হয়। যা পরে মিথ্যে বলে জানা যায়। সকলেই জানে যে বিএনপি-জামাতের অর্থের কোনো অভাব নেই। সে কারণে তারা প্রচুর অর্থ খরচ করে ফেসবুক পেইজ এবং কিছু কিছু অনলাইনের মাধ্যমে মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে। তবে সরকার ফেসবুকে গুজব মনিটর করার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে গুজব সনাক্তকরণ ও প্রতিরোধ সেল তৈরি করেছে। সেপ্টেম্বরের শেষেই এর কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে। মনিটরিং সেল ২৪ ঘণ্টা নজর রাখবে কোন কোন তথ্য গুজব। কারণ গুজব যখন রটনা হয় তা কিন্তু অপরাধের পর্যায়ে পরে।

তিনি আরও বলেন, তিনটি বিভাগে এই গুজব শনাক্তকরণ ও প্রতিরোধ সেল কাজ করবে। যাতে তরুণ প্রজন্ম নিযুক্ত থাকবে। তিন ঘণ্টার মধ্যে এসব তরুণরা গুজব চিহ্নিত করে তা বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও সংবাদপত্র ও রেডিওকে জানিয়ে দেবে যে এই সংসদ গুজব।

হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলাও করার পরামর্শ :
হুইপ শহীদুজ্জামান সরকারের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী তারানা জানান, সরকার অবাধ তথ্য প্রবাহে বিশ্বাস করে। অতীতের যে কোনো সরকারের চেয়ে আমরা গণমাধ্যমকে অবাধ স্বাধীনতা দিয়েছি। কিন্তু তারপরেও কোনো কোনো মিডিয়া ও সাংবাদিক ইনটেনশনালি হলুদ সাংবাদিকতা করে থাকে। কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে যদি কোনো সাংবাদিক হলুদ সাংবাদিকতা করেন বা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক তথ্য প্রকাশ করেন। তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ জানানো যাবে। তা ছাড়া আদালতেও মামলা করা যায়। এ ছাড়া ৫৭ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা যেতে পারে। কোনো ধরনের মিথ্যে ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত তথ্য বা খবর প্রচার/ প্রকাশ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন