বিএনপির সহায়ক সরকারের রূপরেখার খসড়া চূড়ান্ত

  17-09-2018 05:17PM

পিএনএস ডেস্ক : ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনকালীন সরকার ঘোষণার আগেই নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করবে বিএনপি। সহায়ক সরকারের খসড়াও চূড়ান্ত রয়েছে। জাতীয় ঐক্যের পর আলোচনার মাধ্যমে এই চূড়ান্ত রূপরেখা ঘোষণা করবে বিএনপি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রায় দুই বছর আগে নির্বাচন কমিশন গঠনের রূপরেখা উপস্থাপনের এক সংবাদ সম্মেলনে সহায়ক সরকারের রূপরেখা ঘোষণার কথা জানিয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোট নেতা খালেদা জিয়া। তিনি বলেছিলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যাতে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে পারে, সে উদ্দেশ্যেই একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের প্রয়োজন। আমরা নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা ভবিষ্যতে যথাসময়ে জাতির সামনে উপস্থাপন করব।’

তবে এখন পর্যন্ত সেই রূপরেখা ঘোষণা করেনি বিএনপি। দলটির নেতারা বলছেন, সরকারের নানামুখী দমন-পীড়ন, খালেদা জিয়ার কারাবন্দি হওয়া এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার কারণে সময় নিয়েছেন তাঁরা।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা সহায়ক সরকারের দাবি থেকে পিছপা হইনি। আমরা বলেছিলাম যে এটার রূপরেখা দেবো। এই রূপরেখার সম্বন্ধে আমাদের চিন্তাভাবনা চূড়ান্ত আছে। আমাদের নেত্রী কারাগারে যাওয়ার আগে যে একটি নির্বাহী কমিটির মিটিং হয়েছিল, সেটি জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছিল। আমরা এখন জাতীয় ঐক্যের কাজ করছি। এ জন্য আমাদের একটু বিলম্ব হচ্ছে। যদি জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়, তাহলে আমরা যে রূপরেখাটা দেবো, সেটাও জাতীয় ঐক্যের সবার মতামত অনুযায়ী হতে হবে।’

অন্যদিকে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘টাইম তো আর বলতে পারব না এখন, তারিখ বলা যাবে না। আমরা কাজ করছি। এর ওপরে কাজ করছি। খুব শিগগির আমরা চেষ্টা করব এই রূপরেখাটা উপস্থাপন করতে। আমার ব্যক্তিগত মত হলো যে এই মাসের মধ্যে অবশ্যই আমাদের এটা সম্পন্ন করতে হবে।’

এদিকে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবির সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসনের মুক্তি। দলপ্রধানের মুক্তি ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে কি না, অনেকের এমন প্রশ্নেরও জবাব দেন দলের স্থায়ী কমিটির এই দুই সদস্য।

এ বিষয়ে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এক সূত্রে গাঁথা হচ্ছে খালেদা জিয়ার মুক্তি, সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার। সবটাই আমাদের সর্বাধিক গুরুত্ব। এখানে এক নম্বর, দুই নম্বর বলতে নাই। এই তিনটা বিষয়ই একটার সঙ্গে আরেকটা সম্পৃক্ত। অতএব, সবগুলোই আমাদের প্রায়োরিটি।’

অন্যদিকে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘নির্বাচনকে অর্থপূর্ণ করতে হলে, অংশগ্রহণমূলক করতে হলে আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা ভুলে যাই, এখন বলতে রাউন্ড টেবিল কনফারেন্সের আগে কী হয়েছিল? বঙ্গবন্ধু তো জেলখানায় ছিলেন। নিঃশর্তভাবে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন আইয়ুব খান। কিসের জন্য? একটি সমঝোতায় আসার জন্য। কী সমঝোতার জন্য? যে আগামী নির্বাচন কী রকম হবে। কীভাবে হবে, কখন হবে। সব সময় যখনই কোনো সংকট এ ধরনের দেখা গেছে, তখন দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।’

জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে দাবি আদায় এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র বলেও জানান বিএনপির এই দুই জ্যেষ্ঠ নেতা।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন