তিস্তা সেতুর অর্থ বরাদ্দ হওয়ায় এলাকাবাসীর মুখে হাসি

  24-05-2018 08:39PM

পিএনএস, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীর উপর প্রায় ১ হাজার ৪৯০মি: দীর্ঘ সেতু নির্মানের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটি। সচিবালয়ে গত বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন মূল সেতু নির্মানে ৩০৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যায় হবে। এটি বাস্তবায়ন করবে এলজিইডি। সেতুটি নির্মান করা হবে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পাঁচপীর বাজার ও কুড়িগ্রামের চিলমারি উপজেলা সদরের মধ্যে তিস্তা নদীর উপর। বৈঠকে এ সেতুসহ মোট আটটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, নদী শাসনে ৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং জমি অধিগ্রহণে ব্যয় হবে ৬ কোটি টাকা। সেতুটিতে পিলার থাকবে ৩০টি এর মধ্যে ২৮টি পিলার থাকবে নদীর ভিতরে অংশে এবং ২টি পিলার থাকবে বাহিরের অংশে। সেতুর উভয় পাশের্^ নদী শাসন করা হবে ৩ দশমিক ১৫ কিলোমিটার করে। সেতুর উভয় পার্শ্বে সড়ক নির্মাণ করা হবে ৫৭. ৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে চিলমারি মাটিকাটা মোড় থেকে সেতু পর্যন্ত ৭.৩ কিলোমিটার এবং গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর ধাপেরহাট থেকে হরিপুর (পাঁচপীর) সেতু পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার। চিলমারী অংশে একসেস সড়ক সেতু থেকে কাশিম বাজার পর্যন্ত ৫.৩ কিলোমিটার এবং গাইবান্ধা ধাপেরহাট থেকে হরিপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার। সড়ক নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ করা হবে ৯০.৮৪ হেক্টর। এরমধ্যে চিলমারী এলাকায় ২২.৫ হেক্টর এবং গাইবান্ধা এলাকায় ৬৮.৩৪ হেক্টর।

গত ১৫ জুন জাতীয় সংসদে ২৯ গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা আহমেদ বাজেট অধিবেশনে হরিপুর তিস্তা সেতু নিয়ে জোড়াল বক্তব্য রাখার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ইতিমধ্যে সড়ক নির্মাণের মাটি ভরাটের কাজ চলছে। গত বুধবার মূল সেতুর অর্থ বরাদ্দের খবর ছড়িয়ে পরলে এলাকায় খুশির জোয়ার
ছড়িয়ে পরে।

উল্যেক্ষ গত ২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাইবান্ধার সার্কিট হাউজে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই সেতুর উদ্বোধন করেন ।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন