শেরপুরের সাহেবাড়ি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধেঁ ভাঙন : আতঙ্কে ২০ গ্রামের মানুষ

  21-07-2019 09:15PM

পিএনএস, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুরে বাঙালি ও করতোয়া নদীর বাড়তে শুরু করেছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল আর অতিবর্ষণে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে।

এছাড়া নদী ভাঙনও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এমনকি বাঙালি নদীর ভয়াবহ ভাঙনে গত শনিবার (২০জুলাই) রাতে উপজেলার সাহেববাড়ি বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের প্রায় সাড়ে চারশ’ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে স্থানীয় বিনোদপুরসহ অন্তত বিশটি গ্রাম হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়া চরম আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন এসব গ্রামসহ নদীপাড়ের মানুষ। এদিকে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া বাঁধটি রোববার (২১জুলাই) বিকেলে পরিদর্শন করেছেন জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মকবুল হোসেন ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ হাবিবর রহমান। এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা খাতুন, শেরপুর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির, সুঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ, আ.লীগ নেতা আবু তালেব আকন্দ, মনিরুজ্জামান জিন্নাহসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন ও এমপি হাবিবর রহমান দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধটি মেরামত ও সংস্কারের নির্দেশ দেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের সাহেববাড়ি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের একাংশ (সাড়ে চারশ মিটার) বাঙালি নদী গর্ভে চলে গেছে। এছাড়া যে হারে পানি বাড়ছে, তাতে যে কোন সময় ক্ষতিগ্রস্থ এই বাঁধটি ধ্বসে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। আর এই বাঁধটি ভেঙ্গে গেলে উপজেলার সুঘাট, সীমাবাড়ী, বিশালপুর, ভবানীপুরের একাংশসহ তাড়াশ, রায়গঞ্জ উপজেলাসহ সিরাজগঞ্জের বিশাল এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাবে। নষ্ট হয়ে যাবে হাজার হাজার বিঘা জমির রকমারি ফসল। সুঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ জানান, গেল কয়েকদিন ধরেই বাঙালি ও করতোয়া নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে করে সাহেববাড়ি ও মইশনটি বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে ভাঙন শুরু হয়েছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে মেরামত ও সংস্কার করা প্রয়োজন। নইলে যে কোন সময় এই বাঁধটি ধ্বসে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হবে। বাসা-বাড়ি তলিয়ে যাবে। অসংখ্য মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়বে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন এই চেয়ারম্যান।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ বাঁধের একাংশ বাঙালি নদীগর্ভে ধ্বসে যাওয়ার সত্যতা স্বীকার কওে বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ এই বাঁধটি এলজিইডি নির্মাণ করেছিল। তাদের দপ্তরের নয়। এরপরও ক্ষতিগ্রস্থ এই বাঁধটি দু-একদিনের মধ্যেই মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হবে। তাই শঙ্কার কোন কারণ নেই বলেও দাবি করেন তিনি।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন