চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় সমন্বয়ককে হুমকি

  24-08-2024 10:33PM

পিএনএস ডেস্ক: ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোজাম্মেল হোসেন মিঠুর বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক জনি বিশ্বাস (২৬) নামে এক শিক্ষার্থী। একটি চাঁদাবাজির ঘটনায় প্রতিবাদ করায় তাকে এমন হুমকি দেওয়া হয় বলে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন তিনি। তবে বিষয়টি নিয়ে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ অস্বীকার করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের এই নেতা।

শনিবার (২৪ আগস্ট) ফরিদপুর প্রেস ক্লাবে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। দুপুর ২টায় সংবাদ সম্মেলন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এতে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী জনি বিশ্বাস অভিযোগ তুলে ধরেন। এসময় কলেজের শিক্ষার্থী সাগর আহমেদ, মেহেদী হাসানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জনি বিশ্বাস জানান, মোজাম্মেল হোসেন মিঠু গত বৃহস্পতিবার রাতে শহরের আলীপুরের বাদামতলী সড়কের ভাড়াটিয়া বাসিন্দা ও পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মামুন অর রশিদের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরবর্তীতে মীমাংসার মাধ্যমে দেড় লাখ টাকার দাবি করেন। বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবাদ জানান জনি বিশ্বাস। এর জেরে তাকে মোবাইলে কল দিয়ে হুমকি দেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের এই নেতা।

জনি বিশ্বাস বলেন, ফরিদপুরের বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজির গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমি গতকাল রাতে প্রমাণসহ একটি খবর পাই স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিঠুর বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে মিঠুর কাছে ফোন দিয়ে জানতে চাই, আপনি আলীপুরে যে চাঁদা দাবি করেছেন তার প্রমাণ আমার কাছে আছে। আপনি কেন চাঁদা চেয়েছেন? তখন তিনি আমাকে সকালে তার সঙ্গে দেখা করার কথা বলে ফোন কেটে দেন। এর আধা ঘণ্টা পর ফোন দিয়ে আমাকে হুমকি-ধমকি দেন এবং গালিগালাজ করেন। তিনি বলেন, ‘তোরা সমন্বয়ক আছিস ভালো কথা, কয়মাস সমন্বয়ক থাকবি, দুই-তিন মাস থাকতে পারবি, তারপরে তোরা ফরিদপুরে টিকতে পারবি তো? তখন তোদের আমি দেখে নেবো।’

সংবাদ সম্মেলনে চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি প্রমাণ স্বরুপ একটি ভিডিও সাংবাদিকদের সরবরাহ করেন উপস্থিত শিক্ষার্থীরা। ওই ভিডিওতে মামুন অর রশিদ ওই নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।

এদিকে, শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলনের পর নড়েচড়ে বসেন মোজাম্মেল হোসেন মিঠু। তিনি বিকেল সাড়ে ৫টায় ফরিদপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় তিনি মামুন অর রশিদ নামের ওই ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে আসেন।

সংবাদ সম্মেলনে মিঠু সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। আমার প্রতিপক্ষ ওই সমন্বয়ককে দিয়ে আমাকে ফোন করিয়েছেন। এছাড়া আমাদের এলাকার একটি পারিবারিক বিষয়ে মামুন অর রশিদের সঙ্গে কথা হয়েছিল। পরবর্তীতে তা স্থানীয়ভাবে সমাধান হয়। এরপরই আমার প্রতিপক্ষ জোড়পূর্বকভাবে মামুন অর রশিদের ভিডিও স্টেটমেন্ট নেয়। যেটি উনিই আপনাদের বলবেন।

এসময় মামুন অর রশিদ বলেন, আমি কোনো দিন এমন ঘটনার সম্মুখীন হইনি। সেদিন আমি নার্ভাস বোধ করে ভিডিওটিতে কথা বলেছিলাম এবং আতঙ্ক হয়েই ভিডিওতে অনেক কথা বলেছি। টাকা চাওয়ার বিষয়টি আতঙ্কেই বলেছিলাম।

পিএনএস/রাশেদুল আলম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন