পিএনএস ডেস্ক: শাপলা শারমিন নামে এক গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগে পঞ্চগড় জেলা কারারক্ষী শারমিন আক্তারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) পঞ্চগড় পৌরসভার রামের ডাঙ্গায় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, কারারক্ষী শারমিন আক্তারের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেছেন শাপলা শারমিন নামে গৃহবধূ। এ নিয়ে এলাকাবাসী ও গৃহবধূর পরিবারের লোকজনের হাতে প্রায় তিন ঘন্টা বাড়িতে আটকে রাখা হয় শারমিন আক্তারকে। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক ফজলুর রহমান, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার উপ পরিদর্শক রায়হান, কারাগারের প্রধান কারারক্ষী সাইবুরের উপস্থিতিতে শারমিন আক্তারকে উদ্ধার করেন।
এদিকে গৃহবধূর বাসায় চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে কারারক্ষী শারমিনকে আটক করে রাখেন। কারারক্ষী আটকের খবরে রামের ডাঙ্গার বাসিন্দারা ভিড় করেন।
মারধরের শিকার শাপলা শারমিন সাংবাদিকদের জানান, আমার স্বামী আবু তাহের একজন কারারক্ষী হওয়ার সুবাদে গেল পাঁচ বছর ধরে আমার স্বামীর সঙ্গে শারমিন আকতার অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এ নিয়ে আমার স্বামী আবু তাহেরের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া লেগেই থাকতো। এক পর্যায়ে শারমিন আক্তার আমার স্বামীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছে বলেও দাবি করেন। এক পর্যায়ে কারারক্ষী শারমিনের ঘরে আবু তাহের সন্তান দাবি করে ব্লাকমেইল করেন। শনিবার হঠাৎ করেই বেলা ১১টার দিকে কারারক্ষী শারমিন আমার বাড়িতে এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। আমাকে মারধর করলে আমার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। আমি কারারক্ষী শারমিনের বিচার চাই।
অভিযুক্ত কারারক্ষী শারমিন আক্তার জানান, আবু তাহেরের সঙ্গে আমার কোন অবৈধ সম্পর্ক নেই। আমাকে তার বউ মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ দিয়ে ডেকে এনেছেন। আমি এখানে এসে ভুল করেছি।
পঞ্চগড় জেলা কারাগারের জেল সুপার বজলুর রশিদ জানান, কারারক্ষী শারমিন আক্তারকে আটকের খবর শুনে প্রধান কারারক্ষী সাইবুরসহ তিন জন কারারক্ষীকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। দুপুরের দিকে তাকে উদ্ধার করে জেলা কারাগারে আনা হয় তাকে। পরে শারমিন আক্তার নামে গৃহবধূর অভিযোগে কারারক্ষী শারমিন আক্তারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত শারমিন নামে কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও করা হবে।
পিএনএস/রাশেদুল আলম
গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগে কারারক্ষী শারমিন বরখাস্ত
07-12-2024 11:39PM