পিএনএস ডেস্ক: আবারও ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে পঞ্চগড়। সোমবার রাত থেকে বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। রাতে হলুদ লাইট জ্বালিয়েও ধীর গতিতে চলছে যানবাহন। কুয়াশায় আচ্ছন্ন চারদিক। সূর্য আলো ছড়াতে পারেনি। এতে মানুষের সঙ্গে পশুপাখিরাও কাবু হয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে উত্তরের হিম শীতল বাতাস শীতের তীব্রতা এবং ঠাণ্ডার প্রকোপ বাড়িয়েছে। কনকনে ঠাণ্ডার কারণে মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেনা। এক কথায় পৌষের হাড়কাপানো শীত অনুভূত হচ্ছে পঞ্চগড়ে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে চারদিক। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকেই। বিপাকে পড়েছেন অসহায় নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। যানবাহন চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। এমনই আবহাওয়া পঞ্চগড়ে।
জানা যায়, আজ সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা বিরাজ করছে পঞ্চগড়ে। সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। সোমবার সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছিল।
এ দিকে দেখা যায়, অতিরিক্ত ঠাণ্ডার কারণে পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, কৃষি শ্রমিকরা কাজে যেতে পারছেন না। তবে কুয়াশা এবং তীব্র শীত উপক্ষো করে কিছু অটো ইজিবাইক চালক শহরে তাদের যানবাহন বের করেছেন। তবে তারাও জবুথবু অবস্থায় সড়কে যাত্রীর অপেক্ষা করছেন। টিপ টিপ করে কুয়াশা পড়ছে। এতে রাস্তাঘাট ভিজে আছে। ঘরের বাহিরে বের হলে মানুষের শরীর ভিজে যাচ্ছে কুয়াশায়। হেডলাইট এবং হলুদ লাইট জ্বালিয়েও ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ রকম বিপাকে পড়েছেন পরিবহন চালকরা। সেই সঙ্গে দুর্ঘটনার শঙ্কাও করছেন তারা।
সকালে ট্রাক চালক রহিমুল ইসলাম জানান, এত বেশি ঘন কুয়াশা যে সামনে ১০ গজ দেখা যায় না। এক ঘণ্টার রাস্তা ২ ঘণ্টাতেও পৌঁছানো যাচ্ছে না।
পৌরসভা এলাকার ইজিবাইক চালক আজাদ জানান, আজ শরীর কাঁপছে। একদিকে ঘন কুয়াশা আর অন্যদিকে ঠাণ্ডা বাতাসে ইজিবাইক চালানোই মুশকিল।
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, সোমবার রাত থেকে কুয়াশার দাপট শুরু হয়েছিল। এখন পর্যন্ত সূর্যের দেখা নেই। জানুয়ারি মাসে তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে। সেই সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, শীত মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এই অঞ্চলের বড় অংকের মানুষ দারিদ্র জনগোষ্ঠীর। তবে এখন পর্যন্ত জেলার পাঁচ উপজেলায় ১২ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও ৩৩ লাখ টাকার কম্বল ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তবে বিরাট অংকের জনগোষ্ঠীর জন্য আরও কম্বলের পেতে আবেদন করা হয়েছে।
পিএনএস /আনোয়ার
ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে পঞ্চগড়, তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রির ঘরে
31-12-2024 01:28PM