পিএনএস ডেস্ক: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিএনপির দুই পক্ষ। বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে বংশীপুর এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এতে অনেকে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর আগে বিএনপির দুই পক্ষের পৃথক কর্মসূচি ঘিরে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন।
বুধবার বিকেলে সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান কবিরের গ্রুপ বাস টার্মিনাল এলাকায় শান্তি সমাবেশের ডাক দেয়। একই সময়ে সাবেক সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ গ্রুপ একই স্থানে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের কর্মশালা ও লিফলেট বিতরণ’ কর্মসূচি ঘোষণা করে। একই স্থানে কর্মসূচি ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
গত ১৯ জানুয়ারি শ্যামনগর উপজেলা ও পৌর বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ৪৩ সদস্যের উপজেলা কমিটি ও ৩৩ সদস্যের পৌর কমিটির ঘোষণার পর থেকে পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল ও সমাবেশ শুরু হয়। উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) জেলা বিএনপি উভয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: রনি খাতুন বলেন, ১৪৪ ধারা জারি করার পরে তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শান্তিপূর্ণভাবেই সভাস্থল ত্যাগ করছিল। এই সময় একটু উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের ছিল। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। তবে অনেক বড় কিছু ঘটেনি। পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে ছিল।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির মোল্লা বলেন, এই ঘটনায় কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। তবে এখনো পর্যন্ত পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি চলমান রয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষ এড়াতে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. রনী খাতুন। এই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনরা তার দ্রুত পদক্ষেপ এবং দায়িত্বশীলতার প্রশংসা করছেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, ইউএনও রনী খাতুন সংঘর্ষস্থলে গিয়ে দৌড়ে উভয়পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করছেন। তার এমন সাহসিকতা ও কর্তব্যপরায়ণতা স্থানীয়দের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
পিএনএস/রাশেদুল আলম
১৪৪ ধারা ভেঙে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ
23-01-2025 01:16AM