পিএনএস ডেস্ক: মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ফাতেমা আক্তারকে (৬) ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষক সাব্বির খানকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সাব্বির হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে সাব্বিরের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের ব্যাঙ্গ দিঘীর কচুরিপানার নীচ থেকে লাশটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত ফাতেমা ওই গ্রামের কুয়েত প্রবাসী শহিদুল ইসলামের মেয়ে এবং রশুনিয়া মাহমুদিয়া নূরানীয়া মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী।
ওই ইউনিয়নের উত্তর তাজপুর গ্রামের নাহিদ খানের ছেলে সাব্বির।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার নিজ গ্রামের ওয়াজ মাহফিল থেকে ফাতেমা নিখোঁজ হয়। ওই মাহফিলে দোকান নিয়ে বসেন সাব্বির। ফাতেমাকে ফ্রীতে আইসক্রিম খাওয়ানোর কথা বলে সাব্বির। এরপর থেকে ফাতেমার আর খোঁজ মিলছিল না।
পরে ফাতেমাকে আইক্রিম খাওয়ানোর বিষয়টি জানাজানি হলে বুধবার দুপুরে সন্দেহজনকভাবে সাব্বিরকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে স্থানীয়রা। ওইদিন ফাতেমার মা বিলকিস বেগম বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে সাব্বির।
ফাতেমার চাচা মো.এরশাদ জানান, সাব্বির একজন মাদকসেবনকারী ,ওর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
সিরাজদিখান থানার ওসি শাহেদ আল মামুন বলেন, শিশু ফাতেমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ফেলে দেওয়া হয় পাশের একটি ডোবায়। সাব্বিরের দেওয়া তথ্যমতে বৃহস্পতিবার রাতে ফাতেমার লাশ উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে ।
তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার রাতেই ফাতেমাকে হত্যা করে সাব্বির। বুধবার ফাতেমার মা বাদী হয়ে মামলা করে।
পিএনএস/এএ
মুন্সীগঞ্জে ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা
28-02-2025 08:18PM
