বগুড়ায় নারী হাজতখানায় সেই তুফানের সাথে পরিবারের সাক্ষাত

  03-03-2025 11:07PM

পিএনএস ডেস্ক: বগুড়ায় আদালতের নারী হাজতখানায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি তুফান সরকারকে পরিবারের ৫ সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আদালতের সহকারী টাউন উপপরিদর্শক (এটিএসআই) জয়নাল আবেদিনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও তুফান সরকারের স্ত্রী-শাশুড়িসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (৩ মার্চ) বিকেলে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, তুফান সরকার বগুড়া শহর যুব শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারণ সস্পাদক। তিনি বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর এলাকার মজিবর সরকারের ছেলে। দুদকের এক মামলার ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি তুফানের বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক, ধর্ষণ, ছিনতাইসহ আরও ১৭টি মামলা রয়েছে। সোমবার বিকেলে কারাগার থেকে হাজিরার জন্য আদালতে নেওয়া হয় তুফান সরকারকে। হাজিরা শেষে পুরুষ হাজতখানায় না রেখে রাখা হয় নারী হাজতখানায়। সে সময় আদালতে পুলিশের সহযোগিতায় নারী হাজতখানায় তার স্ত্রী আইরিন আক্তার সোনালী, শ্যালক নয়ন, শ্বাশুড়ি তাসলিমা বেগম, স্ত্রীর বড় বোন আশা বেগম এবং একজন আইনজীবীর সহকারী হারুনুর রশীদ দেখা করেন।

বগুড়া আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, সকালে তুফান সরকারকে আদালতে হাজিরার জন্য কারাগার থেকে আনা হয়। দুপুরের মধ্যেই কারাগার থেকে আনা সকল হাজতিকে প্রিজনভ্যানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। হাজতখানার চাবি এটিএসআই জয়নাল আবেদিনের কাছে থাকে। তুফান সরকারকে কারাগারে না পাঠিয়ে তাকে নারী হাজতখানায় পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত করার সুযোগ করে দেন জয়নাল আবেদিন। আদালতের সবার অগচোরে ঘটনাটি ঘটে।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান জানান, হাজিরার পরে তুফান সরকারকে যে পুরুষ হাজতখানায় রাখার কথা সেখানে না রেখে নারী হাজতখানায় রাখা হয়। সেখানে তার সাথে তার স্ত্রী, স্ত্রীর বড় বোন, শাশুড়ি এবং একজন অ্যাডভোকেটের সহকারীকে আমরা একসঙ্গে পাই। তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। কীভাবে তারা নারী হাজতে ঢুকলো এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। সঠিকভাবে তদন্ত শেষে আমরা বিস্তারিত জানাতে পারব। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে এতে পুলিশের গাফিলতি রয়েছে।

বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, পুরুষ আসামিকে নারী হাজতখানায় পরিবারের সাথে সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে এটিএসআই জয়নাল আবেদিনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের আরও যাদের গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন