হবিগঞ্জে হাওরাঞ্চলে ধান কাটা হয়েছে ৮১ শতাংশ

  01-05-2020 12:08AM

পিএনএস ডেস্ক: হবিগঞ্জ জেলার হাওরাঞ্চলে ইতিমধ্যে ৮১ শতাংশ ধান কাটা সম্ভব হয়েছে। উৎপাদনও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

এ দিকে হাওর অঞ্চলে সরকারিভাবে ২৬ এপ্রিল থেকে ধান সংগ্রহ করার কথা ছিল। কিন্তু এখনও হবিগঞ্জ জেলায় ধান কেনা শুরু হয়নি। সরকারি নির্দেশনা থাকলেও এখন পর্যন্ত ধান কেনা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

সরকারিভাবে ধান বিক্রি করতে না পেরে কৃষকদের মধ্যে উপযুক্ত মূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। খোলাবাজারে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক কম মূল্যে তাদের ধান বিক্রি করতে হয়।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আবদুস ছালাম জানান, এ বছর জেলায় ১৫ হাজার ৮০১ মেট্রিক টন ধান কেনা হবে। সরকারিভাবে প্রতি মণ ধানের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৪০ টাকা। যা কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি কেনা হবে। তাদেরকে টাকা চেকের মাধ্যমে প্রেরণ করা হবে।

তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ২৬ এপ্রিল ধান কেনা শুরু হয়েছে। কিন্তু আমাদের এখানে এখনও শুরু হয়নি। তবে দুই-একদিনের মধ্যেই তা শুরু করা সম্ভব হবে। কারণ এখনও কৃষকদের তালিকা তৈরি করা সম্পন্ন হয়নি। এ তালিকা কৃষি অফিস করে দেবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. তমিজ উদ্দিন খান জানান, এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে হাওরে ৮১ শতাংশ এবং হাওর বহির্ভূত এলাকায় ৩৭ শতাংশ ধান কাটা সম্ভব হয়েছে। বাকি ধান আগামী সপ্তাহেই ঘরে তুলা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, ধান কেনার জন্য কৃষকদের তালিকা ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। খাদ্য বিভাগ চাইলেই রোববার থেকে ধান সংগ্রহ শুরু করতে পারবে। তা চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।

জেলা কৃষি অফিস জানায়, এ বছর জেলায় ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯১ মেট্রিক টন বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। কৃষি অফিস আশা করছে উৎপাদন ৫ লাখ মেট্রিক টন হতে পারে।

তবে অনেক কৃষকই ফরিয়াদের কাছে ধান বিক্রি শুরু করে দিয়েছেন। তাড়াহুড়ো করে ধান বিক্রি করার ফলে তারা উপযুক্ত দাম পাচ্ছেন না। তারা প্রতি মণ ধান ৫-৭শ’ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

পিএনএস/হাফিজ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন