গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে কৃষকের বাজিমাত

  01-12-2023 03:03PM




পিএনএস ডেস্ক: আমদানি নির্ভরতা কমাতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের উদ‍্যোগ নিয়েছে সরকার। দেশের অধিকাংশ কৃষক শীতকালীন পেঁয়াজ চাষ করে। ফলে গ্রীষ্মকালে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। কৃষি বিভাগ দেশে গ্রীষ্মকালেও পেঁয়াজ চাষের পদক্ষেপ নিয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে সফলতার দেখা পেয়েছেন নাটোর নলডাঙ্গা উপজেলার ব্রহ্মপুর ইউনিয়নের সড়কুতিয়া গ্রামের কৃষক মো. মিজানুর রহমান মিজান।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মো. কিশোয়ার হোসেন জানান, আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সড়কুতিয়া গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান মিজান কাশ্মিরী জাতের গ্রীষ্মকালিন পেঁয়াজ চাষ করেন। বিঘা প্রতি ফলন হয়েছে ৮৫ মণ। অনেক কৃষক চাষ করেছেন তাদের মধ্যে মিজান কাশ্মিরী জাতের পেঁয়াজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন।

নলডাঙ্গার সড়কুতিয়া গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান জানান, এ বছর তিনি ১৭ কাঠা জমিতে গ্রীষ্মকালীন কাশ্মিরী জাতের পেঁয়াজ চাষ করেছেন। রোপণ থেকে তার পেঁয়াজ উত্তোলনের উপযোগী হতে সময় লেগেছে ৮৫-৯০ দিন। চাষাবাদে তার খরচ হয়েছে ১৭ হাজার ৫০০ টাকা।

এরইমধ্যে ৫ কাঠা জমির পেঁয়াজ তুলেছেন। কাঠা প্রতি ফলন হয়েছে ৪-৫ মণ। এ হিসেবে বিঘায় ফলন হবে প্রায় ৮৫ মণ। বাজারে এ পেঁয়াজ ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি। কৃষি অফিসের উদ্বুদ্ধকরণ তাদের সহায়তা ও নিয়মিত পরিদর্শনে এই আবাদ করতে সক্ষম হয়েছি।

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফৌজিয়া ফেরদৌস জানান, কৃষক মিজানুর রহমান সফলতার সঙ্গে এই পেঁয়াজ আবাদ করেছেন, তা সর্বোচ্চ ৬-৭টি হচ্ছে এক কেজি। আমরা নিয়মিত তাকে পরামর্শ, পরিদর্শনসহ সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষের জন্য সারা বছর পেঁয়াজের খাদ্য চাহিদা মেটানো, বছরজুড়ে ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করাসহ বিদেশ থেকে আমদানি নির্ভরতা কমাতে এই গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষাবাদের জন্য গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বীজ, সার ও পরিচর্যা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। যাতে কৃষকরা গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষাবাদে আগ্রহী হন। কৃষি বিভাগ এ ব্যাপারে সজাগ আছেন।


পিএনএস/এমএইউ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন