অবৈধভাবে রেমিট্যান্স হুন্ডি, গ্রেপ্তার ৮

  04-01-2018 10:01AM


পিএনএস ডেস্ক: রেমিট্যান্সের অর্থ অবৈধভাবে বিকাশের মাধ্যমে হুন্ডি করায় মানিলন্ডারিং মামলায় আট বিকাশ এজেন্টকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।

বৃহস্পতি (৪ জানুয়ারি) তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সিআইডির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে সংবাদমাধ্যমকে বিস্তারিত জানানোর কথা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, সংশিস্নষ্ট বিশিষ্টজনরা আশঙ্কা করেছিলেন, সদ্য সমাপ্ত ২০১৭ সালের রেমিট্যান্স প্রবাহ ২০১৬ সালের থেকে অনেক কম হবে। তবে, অবৈধভাবে দেশে টাকা পাঠানোর পথ বন্ধে প্রশাসনের টানা অভিযানের মুখে সেই আশঙ্কা কিছুটা কমে আসে। গেল বছর রেমিট্যান্স প্রবাহ ১৩ হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। প্রতিদিনই যেভাবে বিদেশে বাংলাদেশি প্রবাসী বাড়ছে সে তুলনায় রেমিট্যান্সের এ প্রবাহ অনেক কম।

গেল বছরের ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছিলেন, বিদেশগামী কর্মীর সংখ্যা বাড়লেও রেমিট্যান্স বাড়েনি, বরং কমেছে। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের পরিমাণ কেন কমছে, তার কারণ অনুসন্ধান করছে সরকার।

অর্থমন্ত্রী আরো বলেছিলেন, বিশ্বায়নের কারণেও রেমিট্যান্স কমতে পারে। এক সময় প্রবাসী কর্মীরা আয়ের বড় অংশ দেশে পাঠাতেন। অনেকেই কর্মস্থল বিদেশে স্থায়ী হচ্ছেন।

২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে ১০ লাখেরও বেশি কর্মী বিদেশে গেছেন। রেকর্ডসংখ্যক কর্মী বিদেশে গেলেও কয়েক বছর ধরে রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী। ২০১৬ সালে প্রবাসী আয় কমেছে। ২০১৫ সালে রেমিট্যান্স আসে ১৫ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার। গত বছর তা কমে হয় ১৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত ছিল গেল বছরেও। গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত রেমিট্যান্স আসে ১২ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার।

ধারণা করা হচ্ছে, অবৈধ পথে টাকা পাঠানোর কারণে রেমিট্যান্স কমেছে। বৈধ পথে দেশে টাকা পাঠাতে দুই দফা কর পরিশোধ করতে হয়। অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠালে ব্যয় অনেক কম। বিশেষত, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিদেশ থেকে অবৈধভাবে টাকা আসে।

এদিকে রেমিট্যান্স করমুক্ত করতে প্রবাসীরা দীর্ঘ দিন ধরে দাবি জানাচ্ছেন।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন