এসএসসি পরীক্ষায় ছেলের চেয়ে ভালো ফল মায়ের

  07-05-2018 05:23PM

পিএনএস ডেস্ক : নাটোরের গুরুদাসপুরে একসঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মা ও ছেলে দু’জনেই পাস করেছেন। মা তাহমিনা বিনতে হক ছেলে তাওহীদুল ইসলামের চেয়ে ভালো ফল করেছেন। তাহমিনা বিনতে হক পেয়েছেন জিপিএ ৪.২৩, অপরদিকে তাওহীদুল ইসলাম পেয়েছেন জিপিএ ৪.০৬।

মা তাহমিনা বিনতে হক বড়াইগ্রামের জোনাইল আইটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। ছেলে তাওহীদুল ইসলাম জোনাইল এলাকার দ্বারিকুশি প্রতাপপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষায় অংশ নেয়।

একসঙ্গে পাস করায় মা-ছেলেসহ পরিবারের সদস্যরা আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের আলমগীর হোসেন রঞ্জুর স্ত্রী তাহমিনা বিনতে হক। এক ছেলে ও এক মেয়ে তাদের। তাহমিনা বিনতে হক পেশায় একজন গৃহিনী। সংসার সামলানোর পাশাপাশি হাঁস মুরগী ও গাভী পালতেন তিনি।

বয়সকে উপেক্ষা করে ৩৫ বছর বয়সে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া তাহমিনা বিনতে হক বলেন, ছেলে তাওহীদুল ইসলামকে লেখাপড়া করাতে গিয়ে আমি নিজেও স্কুলে ভর্তি হই। আমরা মা-ছেলে প্রতিদিন গড়ে ৪ ঘণ্টা লেখাপড়া করতাম। তাওহীদুল আরও বেশি ভাল ফল করলে ভাল লাগতো। তবে মা ও ছেলে দু’জনই পাস করায় ভাল লাগছে। আগামীতে ছেলে আরও ভাল ফল করবে এমন প্রত্যাশা করি।

তাহমিনা বিনতে হকের স্বামী ওষুধ ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন রঞ্জু বলেন, স্ত্রী ও সন্তান পাস করায় অনেক খুশি। সংসারের ব্যস্ততার মাঝেও স্ত্রীর এমন ফলাফলে আনন্দিত। ছেলে আগামীতে আরও ভাল ফলাফল করে সে দিকে নজর রাখবো। তাহমিনা যদি লেখাপড়া চালিয়ে যেতে চায় তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই। উচ্চ শিক্ষা নিতে আমি তাকে উৎসাহ দেবো।

মা ও ছেলের এসএসসি পাসের খবরে আনন্দনগর গ্রামে চলছে আনন্দের বন্যা। মা-ছেলেকে দেখতে ও অভিনন্দন জানাতে অনেকেই ছুটে যাচ্ছেন তাদের বাড়িতে।

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন