এদের অভিনয়, ব্যবসা দুটোই ফ্লপ

  24-01-2019 10:44AM

পিএনএস ডেস্ক : কঠোর পরিশ্রম করেও অনেকে সফলতা পান না। এর ব্যাখ্যা হিসেবে কেউ বলেন কৌশলগত ভুল, আবার কেউ দায়ী করেন ভাগ্য দেবীকে। বলিউডে এরকম অনেকে রয়েছেন, যাঁরা অভিনয়ে ব্যর্থ হয়ে পরিচালনা, প্রযোজনা কিংবা অন্যান্য ব্যবসায় সফল হয়েছেন। এর জ্বলন্ত উদাহরণ অভিনেতা ঋত্বিক রোশনের বাবা রাকেশ রোশন। এই পরিচালক ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন অভিনয় দিয়ে। কিন্তু নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। এরপর পরিচালনায় এসে করণ অর্জুন, কাহোনা প্যায়ার হ্যায়, কোয়ি মিল গ্যায়া-এর মতো টানা তিনটি হিট ছবি নির্মাণ করেন। আবার অনেকে রয়েছেন, যাঁরা অভিনয়ে ব্যর্থ হয়ে অনান্য ব্যবসায় গিয়েও সফলতার মুখ দেখেননি।

অভিনয়, ব্যবসা দুটোতেই ফ্লপ-এমন তারকাদের তালিকায় সবার প্রথমে নাম আসবে অভিনেত্রী অ্যামিশা প্যাটেলের। বলিউডে এই অভিনেত্রীর শুরুটা হয়েছিল বিস্ফোরক। ঋত্বিক রোশনের সঙ্গে তাঁর ক্যারিয়ারের প্রথম ছবি ‘কাহোনা প্যায়ার হ্যায়’ বক্স অফিসে ব্লকবাস্টার তকমা অর্জন করে। এরপর ২০০১ সালে সানি দেওলের সঙ্গে তাঁর ‘গদরঃ এক প্রেম কথা’ ছবিটিও সুপারহিট হয়। এই ছবির জন্য অ্যামিশা সেরা অভিনেত্রী হিসেবে ‘ফিল্মফেয়ার পুরস্কার’ জিতে নেন। এরপর তিনি বেশ কিছু হিন্দি ও তেলুগু ছবিতে অভিনয় করলেও সফলতা আসেনি। পরবর্তীতে ২০১৩ সালের দিকে ‘দেশি ম্যাজিক’ নামে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান খুলেন অ্যামিশা। এই প্রতিষ্ঠান থেকে এ পর্যন্ত একটি ছবি নির্মিত হয়েছে। ‘ভাইয়াজি সুপারহিট’ নামে গত বছর মুক্তি পাওয়া এই ছবিটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে।

আরেক অভনেত্রি লারা দত্ত বিশ্ব সুন্দরীর ( মিস ইউনিভার্স) খেতাব জয়ের মধ্য দিয়ে বলিউডে পা রাখেন। অ্যামিশা প্যাটেলের মতো তিনিও বিস্ফোরক শুরু করেছিলেন। অক্ষয় কুমারের বিপরীতে তাঁর প্রথম ছবি ‘আন্দাজ’ মুক্তি পায় ২০০৩ সালে। এই ছবির জন্য তিনি সেরা নবাগতা অভিনেত্রী হিসেবে ‘ফিল্মফেয়ার’ পুরস্কার জিতেন। এরপর থেকেই যেন রাহুর গ্রাসে পড়েন লারা। বেশকিছু হিন্দি ও তামিল ছবিতে অভিনয় করলেও ব্যর্থতা এড়াতে পারেননি। এরপর ভারতীয় টেনিস তারকা মহেশ ভূপতিকে বিয়ে করে নেমে পড়েন চলচ্চিত্র প্রযোজনায়। ‘বিগ ড্যাডি’ নামে লারার এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০১১ সালে নির্মিত হয় হিন্দি ছবি ‘চল দিল্লি’। ছবিটি সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ালেও লাভজনক আয় করতে ব্যর্থ হয়। এরপর নামেন শাড়ির ব্যবসায়। সেখানেও ভাগ্য দেবী লারার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন।

অভিনেত্রী প্রীতি ঝাঁগিয়ানির শুরুটা হয়েছিল মালায়ালাম চলচ্চিত্রশিল্পে অভিনয়ের মাধ্যমে। ভারতের প্রায় সবগুলো চলচ্চিত্রশিল্পে কাজ করেছেন এই অভিনেত্রী। কিন্তু বলিউড তাঁকে চিনেছে ‘মোহাব্বতে’ ছবির মাধ্যমে। এই ছবিতে শাহরুখ, অমিতাভ, ঐশ্বরিয়ার পাশপাশি তাঁর চরিত্রটিও দর্শক সমালোচকদের ইতিবাচক প্রশংসা কুড়ায়। এরপর বহু ছবিতে কাজ করলেও নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি প্রীতি। অভিনয়ের পাশপাশি ২০০৯ সালে স্বামী অভিনেতা প্রবীণ দাবাসকে সঙ্গে নিয়ে ‘ভেরি ফিসি ফিল্মস’ নামের একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান খোলেন। এই প্রতিষ্ঠান থেকে এ পর্যন্ত ‘সাহি দ্বান্দ্বে, গলদ বান্দে’ নামক একটি ছবি মুক্তি পায়। কিন্তু দিন শেষে ছবিটি লোকসানের মুখ দেখে।

‘মোহাব্বতে’ ছবির আরেক নায়িকা কিম শর্মা বেশকিছু ছবিতে ব্যর্থ হয়ে ব্যবসায় নামেন। নিজের স্বামী কেনিয়া ভিত্তিক ব্যবসায়ী আলী পুনজানি-এর সঙ্গে শুরুতে হোটেল ব্যবসায় নামেন কিম। কিন্তু ২০০১২ সালের দিকে শেয়ার বাজারে কেলেঙ্কারির দায়ে তাঁদের হোটেল ব্যবসায় ধস নামে। ওই কেলেঙ্কারির কারণ হিসেবে কিমকে দোষারোপ করেন আলী। কিমের প্রতি বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগও এনেছিলেন তিনি। এরপর দু’জনের বিচ্ছেদ ঘটে। পরবর্তীতে কিম একাই বিউটি পার্লারের ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু সেখানেও তিনি খুব বেশী সুবিধা করতে পারেননি।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন