‘শিল্পীদের অশ্লীল দৃশ্যে আমার নাম ও ছবি ব্যবহার করত’

  03-02-2019 03:08PM

পিএনএস ডেস্ক :বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের এক সময়ের আলোচিত অভিনেত্রী মুনমুন। মুনমুনের জন্ম ইরাকে হলেও তার পৈত্রিক নিবাস বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের পর অর্থ কষ্টে পড়তে হয়েছিল তাদের। সেই কারণে পড়াশোনাও করতে পারেন নি তিনি। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর আর পড়ালেখা করা হয়নি তার।

এহতেসাম পরিচালিত ‘মৌমাছি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ১৯৯৭ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় মুনমুনের। পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত ‘শক্তির লড়াই’ চলচ্চিত্রে মুনমুনের অনবদ্য অভিনয় দর্শকের মন জয় করেন।অনেক আগেই বিভিন্ন কারণে চলচ্চিত্র ছেড়ে দেন মুনমুন।

এ বিষয়ে চিত্রনায়িকা মুনমুন বলেন, ‘আমি যখন কাজ করতে শুরু করি তার কয়েক বছর পর অর্থাৎ ২০০০ কিংবা ২০০১ সালের দিকে বাংলা চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা ঢুকে পড়েছিল। যার কারণে আমি সিনেমা ছেড়ে দিতে বাধ্য হই। কাজের প্রয়োজনে আমার কস্টিউম যেমন পড়া দরকার ছিল সেগুলো পড়েছি। ছোট ছোট প্যান্ট পরেছি, শর্ট ড্রেস পরেছি কিন্তু কখনও কোন ছবিতে লেংটা হয়ে কাজ করিনি। কিন্তু ওই সময়টাতে আমার পিছনে একটা মহল নানা রকম মন্তব্য করে বেড়াচ্ছিল আমাকে টেনে নিচে নামাতে। বিভিন্ন ছবিতে অশ্লীল দৃশ্য ব্যবহার করে সেখানে আমার নাম জুড়ে দিত অনেকেই। তাদের মধ্যে আমার কাছের অনেকেই ছিলেন। এক্সট্রা শিল্পীদের নগ্ন করিয়ে দৃশ্য ধারণ করিয়ে সেখানে আমার নাম আর আমার ফেস ব্যবহার করত। অথচ আমি এগুলোর কিছুতেই ছিলাম না তখন। আমাকে বাজেভাবে নিচে টেনে নামানোর চেষ্টা করেছে তারা। এমন অবস্থায় আমার আর কাজ করার ইচ্ছা মন থেকে উঠে গিয়েছিল। অথচ আমি যে একজন অভিনয় শিল্পী অভিনয়ের প্রতি যে টান সেটা আমাকে প্রতিনিয়ত কুড়ে কুড়ে খায়।’

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অধিকাংশ নায়কের সাথে অভিনয় করেছেন মুনমুন। এই সময়ের শীর্ষ নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে মুনমুনের জুটি এক সময় জনপ্রিয় হয়েছিল। শাকিব খানের প্রথম ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র ‘বিষে ভরা নাগিন’ ছবিতে নায়িকা ছিলেন মুনমুন। এরপর একসাথে প্রায় ১৪টি চলচ্চিত্রে এই জুটিকে দেখা গেছে। এরপর তাদেরকে আর একসাথে দেখা যায় নি।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন