নরেন্দ্র মোদি নোবেল পুরস্কারের জন্য ‘মনোনীত’!

  25-09-2018 04:02PM


পিএনএস ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ‘মনোনীত’ করে দিলেন তামিলনাড়ু বিজেপির সভাপতি তামিলিসাই সৌন্দর্যান। তার স্বামীও মোদিকে একই কারণে নোবেল পুরস্কার দিতে চান।

রাজ্য বিজেপির অফিস থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

খবরে প্রকাশ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড়’ স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি চালু করেছেন। এ জন্য তামিলিসাই ও তার স্বামী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও কিডনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. পি সৌন্দর্যান তাকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি চালু করায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ২০১৯ সালের নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছেন তামিলিসাই সৌন্দর্যান।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, রোববার চালু করা ‘স্বপ্নদর্শী’ প্রধানমন্ত্রীর এ ‘বিরাট উদ্যোগ’ কোটি কোটি মানুষের জীবন বাঁচাবে, বিশেষত সুস্থ ও অসহায় মানুষ এর দ্বারা বেশ উপকৃত হবেন।

‘২০১৯ সালের নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়নের জন্য শেষ দিন সে বছরের ৩১ জানুয়ারি। প্রতিবছরের সেপ্টেম্বরে মনোনয়ন কার্যক্রম শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এবং সংসদ সদস্যরা আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে নোবেলের জন্য মনোনীত করতে পারেন’, বলছে বিজ্ঞপ্তি।

ভারতের পূর্বাঞ্চলের রাজ্য ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি থেকে রোববার দেশব্যাপী এই কমসূচি উদ্বোধনকালে মোদি বলেন, এটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর সম্মিলিত জনসংখ্যার চেয়েও বেশি মানুষ এর সুবিধা পাবে। এই কর্মসূচির জন্য আলাদা কোনো নিবন্ধনের দরকার নেই। জনগণ অনলাইনেই জানতে পারবেন তারা এই কর্মসূচির যোগ্য কিনা।

প্রাথমিকভাবে ভারতের ২৭টি রাজ্যে চালু করা হবে ‘মোদিকেয়ার’ নামের এই স্বাস্থ্য কর্মসূচি। এই খরচের ৬০ শতাংশ বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার আর ৪০ শতাংশ বহন করবে রাজ্য সরকার।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার বরাতে জানা গেছে, ভারতের ১০ কোটি পরিবার অর্থাৎ প্রায় ৫০ কোটি দরিদ্র মানুষকে ‘মোদিকেয়ার’ নামের এই কর্মসূচির আওতায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেয়া হবে। কর্মসূচিটির আওতায় এসব মানুষের মারাত্মক রোগের চিকিৎসার লক্ষ্যে বাৎসরিক বরাদ্দ দেয়া হবে মাথাপিছু ৫ লাখ রুপি।

তবে সমালোচকরা জানিয়েছেন, ‘রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল ছাড়া তাড়াহুড়ো করে এই কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে।’

এদিকে হাসপাতাল ও চিকিৎসক সংকটে থাকা ভারতের স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার প্রচেষ্টার মধ্যে সর্বশেষ এই উদ্যোগ নিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিজেপি সরকার জরুরি ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের মূল্য বেঁধে দেয়াসহ স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়িয়েছে।

উল্লেখ্য, নিজেদের জিডিপির মাত্র এক শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করে ভারত যা বৈশ্বিক হিসেবে সবচেয়ে কম।

বেসরকারি হাসপাতাল ও ওষুধ কোম্পানিগুলোও সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। এ পদক্ষেপ তাদের ব্যবসাকে আরও বাড়াবে বলে আশা করছেন তারা।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন