নিষেধাধাজ্ঞার মধ্যেও বেড়েছে ইরানের তেল রপ্তানি

  26-09-2020 04:46PM

পিএনএস ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরানের তেল রপ্তানি উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে। চলতি সেপ্টেম্বর মাসেও প্রতিদিন ১৫ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি করেছে। ট্যাংকার ট্র্যাকার্সসহ আন্তর্জাতিক তেল ট্যাংকার চলাচল পর্যবেক্ষণকারী তিনটি সংস্থার প্রতিবেদনে এমনটা জানা গেছে। বলা হয়েছে, আগস্ট মাসের চেয়ে ইরান সেপ্টেম্বর মাসে দ্বিগুণ তেল রপ্তানি করেছে। খবর রয়টার্স, পার্স টুডে’র।

২০১৮ সালের মে মাসে আমেরিকা ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর দেশটির তেল রপ্তানি ব্যাপকভাবে কমে গিয়েছিল। প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি সম্প্রতি বলেছেন, তার দেশ গত আড়াই বছর ধরে অর্থনৈতিক যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে এবং এটি ঠাট্টা করার মতো কোনো বিষয় নয়। সংস্থাটির কর্মকর্তা সামির মাদানি বলেন, ইরানের তেল রপ্তানি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়েছে এবং দেশটি দৈনিক নিজের তেল রপ্তানি প্রায় ১৫ লাখ ব্যারেলে উন্নীত করেছে। গত দেড় বছরে এই পরিমাণ নজিরবিহীন।

এর আগে মাদানি গত জানুয়ারি মাসে বলেছিলেন, ওই মাসে ইরানের তেল রপ্তানি তার আগের মাসের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। এসব তেলের শতকরা সাত থেকে ১০ ভাগ সুয়েজ খালের মাধ্যমে সিরিয়ায় পৌঁছেছে এবং বাকি তেল দূরপ্রাচ্যসহ অন্যান্য ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

ট্যাংকার ট্র্যাকার্সের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে রয়টার্স জানিয়েছে, ইরানের মোট রপ্তানি করা তেলের অর্ধেক কোথায় যায় তা পরিষ্কার নয়। কারণ, এসব তেল বিদেশি তেল ট্যাংকার বহন করে এবং গভীর সমুদ্রে এসব তেল জাহাজ থেকে জাহাজে স্থানান্তর করা হয়।

ইরানের তেল মন্ত্রণালয় সাধারণত তার তেল উত্তোলন ও রপ্তানির পরিমাণ ঘোষণা করে না। ইরানের অভিজ্ঞ তেলমন্ত্রী বিজান নামদার জাঙ্গানেকে সেদেশের তেল রপ্তানি বৃদ্ধির প্রধান কারিগর বলে মনে করা হয়। সম্প্রতি তিনি বলেছিলেন, আমার কথা শুধু দেশের জনগণ শোনে না বরং শত্রুদের কানেও পৌঁছে যায়। তিনি আরো বলেন, তেল মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে কেউ যেন পরিসংখ্যান আশা না করে।

পিএনএস/এসআইআর


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন