বৃষ্টি নিয়ে পবিত্র কোরআনের সাত জায়গায় যা বলা আছে

  30-04-2024 01:13PM


পিএনএস ডেস্ক: তীব্র গরমে মানুষের জীবন হাঁসফাঁস অবস্থা। এই গরমে এক পশলা বৃষ্টি জনজীবনে নেমে আসতে পারে স্বস্তি। বৃষ্টি মহান আল্লাহ তাআলার এক নেয়ামত।

পবিত্র কুরআনের অনেক আয়াতে বৃষ্টি নিয়ে অনেক আলোচনা রয়েছে। কোথাও বৃষ্টি বর্ষণকে আল্লাহ তা’আলার ক্ষমতা ও কুদরতের নিদর্শন হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। কোথাও আল্লাহ তা’আলার পরিচায়ক হিসেবে। কোনো আয়াতে বৃষ্টিকে আল্লাহর রহমত হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এমন কিছু আয়াত এখানে তুলে ধরা হলো।

১. মানুষ যেন তার খাবারের প্রতি লক্ষ্য করে। আমি উপর থেকে প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করেছি। তারপর ভূমিকে বিস্ময়করভাবে বিদীর্ণ করেছি। তারপর আমি তাতে উৎপন্ন করেছি শস্য, আঙ্গুর, শাকসবজি, জয়তুন, খেজুর, নিবিড় ঘন বাগান এবং ফলমূল ও ঘাসপাতা। তোমাদের নিজেদের ও তোমাদের গবাদি পশুর ভোগের জন্য। (সুরা আবাসা: ২৪-৩২)

২. তিনি আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন, এরপর তা দিয়ে তোমাদের জীবিকাস্বরূপ বিভিন্ন প্রকার ফলমূল উৎপন্ন করেন। (সুরা বাকারা: ২২)

৩. আমি আকাশ থেকে বর্ষণ করি বরকতপূর্ণ পানি, তারপর তার মাধ্যমে উদগত করি উদ্যানরাজি ও এমন শস্য, যা কাটা হয়ে থাকে। এবং সৃষ্টি করি এমন উঁচু উঁচু খেজুর গাছ, যাতে আছে গুচ্ছ গুচ্ছ দানা। (এসব) বান্দাদের জীবিকাস্বরূপ এবং (এমনিভাবে) আমি সেই পানি দিয়ে এক মৃত নগরকে সঞ্জীবিত করেছি। (সুরা কাফ: ৪৫)

৪. তিনি আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন। ফলে নদীনালা নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী প্লাবিত হয়েছে, তারপর পানির ধারা স্ফীত ফেনাগুলোকে উপরিভাগে তুলে এনেছে। এ রকমের ফেনা তখনও ওঠে, যখন লোকেরা অলংকার বা পাত্র তৈরির উদ্দেশ্যে আগুনে ধাতু উত্তপ্ত করে। আল্লাহ এভাবেই সত্য ও মিথ্যার দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন যে, (উভয় প্রকারে) যা ফেনা, তা তো বাইরে পড়ে নিঃশেষ হয়ে যায় আর যা মানুষের উপকারে আসে তা জমিতে থেকে যায়। এ রকমেরই দৃষ্টান্ত আল্লাহ বর্ণনা করে থাকেন। (সুরা রাদ: ১৭)

৫. সন্দেহ নেই, আল্লাহর কাছেই রয়েছে কেয়ামতের ইলম। তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন। মাতৃগর্ভে যা আছে, তা কেবল তিনিই জানেন। কেউ জানে না- আগামীকাল সে কী করবে এবং কেউ জানে না- সে কোথায় মারা যাবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে অবহিত। (সুরা লুকমান: ৩৪)

৬. আল্লাহ আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং জমির মৃত্যুর পর তা দিয়ে আবার তাতে প্রাণসঞ্চার করেন। নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন আছে এমন লোকদের জন্য, যারা কথা শোনে। (সুরা নাহল: ৬৫)

৭. আচ্ছা বলো তো, যে পানি তোমরা পান কর, মেঘ থেকে তা কি তোমরা বর্ষণ কর, না আমিই বর্ষণ করে থাকি? আমি ইচ্ছা করলে তা লবণাক্ত করে দিতে পারি, অতএব কেন তোমরা শোকর আদায় কর না? (সুরা ওয়াকিয়া: ৬৮-৭০)G


পিএনএস/এমএইউ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন