একমাত্র গোলে ফাইনালে ফ্রান্স

  11-07-2018 02:02AM

পিএনএস ডেস্ক :ডিফেন্ডার সামুয়েল উমতিতির গোলে দুরন্ত বেলজিয়ামকে কাঁদিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেছে ফ্রান্স। রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রথম সেমি-ফাইনালে উমতিতির হেড থেকে আসা ওই একমাত্র গোলে জিতেছে দিদিয়ের দেশমের দল।

সেন্ত পিতার্সবুর্গ স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই বল দখল আর আক্রমণের এগিয়ে থাকা বেলজিয়াম গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল ১৫তম মিনিটে। কেভিন ডে ব্রুইনের পাসে ডি-বক্স থেকে এদেন আজারের কোনাকুনি শট দূরের পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। দুই মিনিট পর অপর প্রান্তে ব্র্রেইস মাতুইদির শট আস্থার সঙ্গে গ্লাভসে নেন গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া।

পরের মিনিটে আবারও ডি-বক্স থেকে জোরালো শট নিয়েছিলেন আজার। ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানে কোনোমতে মাথা লাগানোয় বল ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়।

২২তম মিনিটে দুর্দান্ত সেভে বেলজিয়ামকে গোলবঞ্চিত করেন উগো লরিস। কর্নার থেকে বল পেয়ে ডি-বক্স থেকে টবি আল্ডারভাইরেল্ডের আচমকা শট ফেরান ডানে ঝাঁপিয়ে।

৩৯তম মিনিটে দারুণ সেভে ফ্রান্সকেও গোল করতে দেননি কর্তোয়া। কিলিয়ান এমবাপের বাড়ানো বল ধরে বাঁজামাঁ পাভার্দের কোনাকুনি শট ঠেকান পা বাড়িয়ে।

গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটাও ছিল বেলজিয়ামের। কিন্তু প্রথম সুযোগেই গোল পেয়ে যায় ফরাসিরা। ৫১তম মিনিটে অঁতোয়ান গ্রিজমানের কর্নারে লাফিয়ে উঠে হেডে কাছের পোস্ট দিয়ে বল জালে পাঠান বার্সেলোনার ডিফেন্ডার উমতিতি।

চার মিনিট পর এমবাপের দারুণ ব্যাকহিলে বল পেয়ে শট নিয়েছিলেন অলিভিয়ে জিরুদ। তবে গোলের দেখা পাননি আর্সেনালের এই ফরোয়ার্ড।

বদলি হিসেবে নেমেই ড্রিস মের্টেন্স সমতা ফেরানোর দ্রুত দুটো সুযোগ তৈরি করেছিলেন। ৬১তম মিনিটে তার কাছ থেকে বল পেয়ে ঠিকমতো ভলি নিতে মারেননি অনেকটা ফাঁকায় থাকা ডে ব্রুইনে। আর চার মিনিট পর মের্টেন্সের ক্রসে মারোয়ান ফেলাইনির হেড পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে যায়।

৮১তম মিনিটে আক্সেল উইতসেলের বাঁক খাওয়া শট ফিরিয়ে আবারও ফ্রান্সের ত্রাতা লরিস।

এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল ফ্রান্স। ২০০৬ সালে জার্মানি বিশ্বকাপে সবশেষ ফাইনালে ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল ফরাসিরা।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন