চুক্তি ছাড়াই ১৭ বছর ধরে ফেনী নদী থেকে পাম্প বসিয়ে পানি তুলছে ভারত

  13-10-2019 04:03PM

পিএনএস ডেস্ক : ফেনী নদীতে চুক্তি ছাড়াই পাম্প বসিয়ে পানি তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিবিসি বাংলা এ তথ্য জানিয়ে বলছে,রামগড় এলাকায় ভারতীয় অংশে পাইপ এবং পাম্প মেশিনের অস্তিত্ব দেখা গেছে। স্থানীয়রা একটি নদীতে একটি পাইপলাইন এবং তারা পাম্পঘর দেখিয়ে বলেন, ২০০২ সাল থেকে এখান থেকে পানি তুলছে ভারত। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ নিয়ে প্রতিবাদ করা হয়েছে।

ত্রিপুরার সাবরুমে খাবার পানি সরবরাহের জন্য উজানে ১.৮২ কিউসেক পানি প্রত্যাহার হলে কোনো ক্ষতি হবে কিনা সে প্রশ্নের চেয়ে স্থানীয় মানুষের কাছে বিদ্যমান ভারতীয় পাম্পগুলো নিয়েই প্রশ্ন।

রামগড়ে অবস্থিত ৪৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তারিকুল হাকিম বলেন, সীমান্তে ৩৬টি এরকম পাম্প মেশিন দিয়ে পানি তুলছে ভারত। নোম্যান্স ল্যান্ড থেকে এগুলো সরিয়ে নিতে বিএসএফ এর সঙ্গে বৈঠকে তাগাদা দেয়া হলেও জানানো হয়েছে, এটি তাদের এখতিয়ারভুক্ত নয়।

বিবিসি বলছে, উজানে বাংলাদেশ অংশে তিনটি পাম্প দিয়ে শুষ্ক মৌসুমে পানি তোলা হয় বলেও স্থানীয় মানুষের কাছে জানা গেছে। ওয়ারপো'র সাবেক মহাপরিচালক ম ইনামুল হক বলেন, ১.৮২ কিউসেক পানি দেয়ার চুক্তি হয়েছে সেটা তেমন কোনো ক্ষতি করবে না। কিন্তু এখনই যে পাম্পগুলো ভারতের অংশে বসানো আছে তার প্রতিটির ন্যূনতম ক্ষমতা দুই কিউসেক।

"২০ বছর আগে ফেনী নদীতে শুষ্ক মৌসুমে ১২০ কিউসেক পানির প্রবাহ ছিল সেটা এখন ৫০ কিউসেকে নেমে এসেছে। এর কারণ তারা উজানে পাম্প দিয়ে পানি প্রত্যাহার করছে। যদি এখন ১.৮২ কিউসেক নেয়া হয় তাহলে অন্যান্য যে ৩৬টি পাম্পে তারা পানি উঠাচ্ছে তার কী হবে?"

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যৌথ নদী কমিশনের সদস্য কে এম আনোয়ার হোসেন বলেন, অফিশিয়ালি এ ধরনের কোনো তথ্য আমাদের কাছে নাই। তারা যদি তুলে থাকে সেটা হতে পারে। আমরাও আমাদের অংশে প্রয়োজনে পানি তুলে থাকি। এটা ঠিক একতরফা না। উভয়ের প্রয়োজনে উভয়ে তুলে থাকে। এটা চুক্তি বহির্ভূত যেসকল নদীগুলো আছে সেখানে হয়ে থাকে। সেজন্য ভবিষ্যতে যাতে সেটা নয় হয় সেজন্য সাতটি আন্তঃ সীমান্ত নদীর পানি বণ্টন চুক্তি হতে যাচ্ছে তখন এগুলো সমাধান হয়ে যাবে।

পিএনএস-জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন