পিএনএস ডেস্ক: পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, দেশের উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় ঋণ দেওয়া হয় না, অথচ ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা সরিয়ে নিয়েছে বড় বড় শিল্পগোষ্ঠী। তিনি জানান, গ্রাম ও শহরে উদ্যোক্তার অভাব নেই। কিন্তু তাঁদের জন্য মূলধন নেই।
আজ বুধবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪–এর প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস কার্যালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বৈষম্যহীন টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্নির্ধারণ ও প্রয়োজনীয় সম্পদ আহরণ–সংক্রান্ত সরকার গঠিত টাস্কফোর্সের সভাপতি কে এ এস মুরশিদ। বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অর্থনৈতিক শুমারি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানান সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিচালক এস এম শাকিল আখতার।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘রাতারাতি ধনী হওয়া বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের শ্রমিকেরা এখন আন্দোলন করছেন। যেমন বেক্সিমকোর কথা বলা যায়। সরকার নিজের টাকা খরচ করে এসব প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বেতন দিচ্ছে। দেখা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠানের কোনো মূলধন নেই, খালি ঋণ আর ঋণ। দেশে আর্থিক খাতে বৈষম্য কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে, তার নিদারুণ উদাহরণ এটি।’
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘দেশে অনেক উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছেন। একটা বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে, উদ্যোক্তাদের বেশির ভাগই মূলধনের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। আবার যাঁদের মূলধন নেই, তাঁরা সহজে ঋণও পান না। বিষয়টি দুঃখজনক।’
দেশের আর্থিক খাত থেকে বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠী হাজার কোটি টাকা সরিয়ে নিয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠানের নামে এত টাকা কই গেছে কেউ জানে না। ব্যাংক খালি হয়ে গেছে। অথচ গ্রামের ছোট উদ্যোক্তারা প্রয়োজনীয় মূলধন পান না।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আরও বলেন, প্রবাসী আয় থেকে গ্রাম এলাকায় সেবা খাতের বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ছে। এটি আশাব্যঞ্জক। তবে উৎপাদন খাত বাড়ছে না। কারণ, সে পরিমাণ মূলধন প্রবাসী আয় থেকে পাওয়া সম্ভব নয়, আবার ব্যাংকঋণও পাওয়া কঠিন।
এসএস
ছোট উদ্যোক্তারা ঋণ পান না, বড়রা হাজার কোটি টাকা সরিয়েছেন: ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ
29-01-2025 08:33PM